ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আলোচিত টিপু সুলতান নির্যাতন মামলায় পৌর মেয়রের ছোট ভাই সহ গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীর পুলিশী রিমান্ড স্থগিত

- আপডেট সময় : ০১:০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম রিপোর্টার -মুশফিকুর রহমান কাজল,ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার আলোচিত ঘটনা বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত টিপু সুলতানের নির্যাতন মামলায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীর পুলিশী রিমান্ড স্থগিত।
টিপু সুলতান নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরপরই তাঁর মা ও বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ছোট বোন রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় পৌর মেয়র আশরাফুল আলম, তাঁর ছোট ভাই, ভাগ্নে সহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া তিনি আরো ১০/১৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর কথা উল্লেখ করেছেন।
মামলার পরপরই কালীগঞ্জ থানা পুলিশ পৌর মেয়র আশরাফুল আলমের ছোট ভাই সোহান বাবু, শিহাব ও কামরানকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেও,আসামী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ জজকোর্ট তা আগামী ৭ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন।
এছাড়া এই মামলায় কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম, আলোচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল, ঝিনাইদহ-৪ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ সহ ৭ আসামী জামিনে আছে।
পৌর মেয়র আশরাফুল আলমের ভাগ্নে সবুজ হোসেন সহ বাকী আসামী পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য যে গত শুক্রবার কালীগঞ্জে মটর সাইকেল পার্কিং কেন্দ্র করে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তাঁর ছোট ভাই, ভাগ্নে সহ মেয়রের ২০/২৫ জন ক্যাডার বাহিনী বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত টিপু সুলতানকে অমানুষিক ভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়।
দিনে দুপুরে শত শত মানুষের সামনে কালীগঞ্জ পৌরসভার নগর পিতা আশরাফুল আলম বাহিনীর নির্য়াতনের শিকার টিপু সুলতান জীবন বাঁচাতে রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আঘাত প্রাপ্ত সহ টিপু সুলতানের পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
কালীগঞ্জের পৌর মেয়র আশরাফুল আলমের এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঝিনাইদহের সাংবাদিক মহলের মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর থেকে জেলার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ মানুষ ঝিনাইদহের গর্ব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নে টিপু সুলতানের নির্যাতনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই