জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রেরণ করেছে হাবিপ্রবি

- আপডেট সময় : ০৬:৩৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

হায়দার, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
জরুরী অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রেরণ করেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৪ই জুলাই ২০২৪) আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে স্মারকলিপি পাঠানোর মাধ্যমে আজকের কর্মসূচিটি পালন করে।স্মারক লিপিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা লিখেন, সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সরকারি চাকরি থেকে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত করা হয়। এবং কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করেন।কোটা সংস্কার চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য প্রাণের দাবি। বৈষম্যমুক্ত ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে চাকরিতে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছিল শিক্ষার্থীরা।
সরকার সার্বিক বিবেচনায় নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেটে কোটার বিলুপ্তিকে সমাধান মনে করেছিলো। ২০১৮ সালে এই পরিপত্র জারি হবার পরে কয়েকটি সরকারি চাকরির পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত পরিপত্রটি সংবিধানের আলোকে ত্রুটিযুক্ত থাকায় ২০২১ সালে ৬ই ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই পরিপত্রটিকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না বলে রুল জারি করেন। এবং ৫ই জুন এই রুলকে এবসলিওড হিসাবে রায় দেন আদালত। রায়ের এই পরিপত্রকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন। যার ফলে নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডের চাকরির কোটা পুনর্বহাল হয়। পরবর্তীতে গত বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তের উপর হাইকোর্টের দেওয়া এক মাসের স্থিতিঅবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায়ের কিছু অংশ গত বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী সানজিদা পারভীন রিপা বলেন, আজ “কোটা সংস্কার আন্দোলন” এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর দিনাজপুরের সম্মানিত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। স্মারকলিপিটি ছিল জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী কঠোর আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেডে (১ম ও ২য় শ্রেণীতে) সকল ধরনের কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে ২০২৪ এর ৫ই জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল ঘোষণা করে কোটা পুনর্বহালের রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। যার প্রেক্ষিতে পুনরায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা পুনর্বহালের এই রায়ের বিপক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের শুরুতে বিক্ষোভ মিছিল করলেও পরবর্তী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বাংলা ব্লকেডের পর আন্দোলনের অংশ হিসাবে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্বন্বয়কবৃন্দ।