জলাতঙ্ক দিবসে বাকৃবিতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন কর্মসূচি, চলবে মাসব্যাপী

- আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাকৃবি প্রতিনিধি:বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক বা র্যাবিস রোগের টিকা প্রদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে সারাদিনব্যাপী ওই কর্মসূচি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির পরিচালক ড. মো. মাহবুব আলম।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “র্যাবিস একটি প্রাণঘাতী ভাইরাসজনিত রোগ, যা কুকুর-বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। চিকিৎসা না পেলে প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু ঘটে। তাই প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। র্যাবিস প্রতিরোধে আমাদের প্রথম কাজ হলো কুকুর ও অন্যান্য পোষা প্রাণীকে নিয়মিত টিকা দেওয়া। পাশাপাশি কেউ কামড় বা আঁচড়ের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে সাবান ও পানি দিয়ে ক্ষত ধুয়ে ফেলতে হবে এবং দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে হবে। রাস্তার কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে, তবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। আমরা যদি সচেতন হই, তবে র্যাবিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু পোষা প্রাণী নয়, “রাস্তার কুকুরকেও ভ্যাকসিন দেওয়া। কারণ রাস্তায় প্রচুর কুকুর ঘুরে বেড়ায়, আর সেখান থেকেই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই সবাই যদি একসঙ্গে এগিয়ে আসেন, তবে এ উদ্যোগ আরও সফল হবে।” তাছাড়া বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদানের এই কর্মসূচীটি মাসব্যাপী চলবে বলেও জানান তিনি।
এসময় অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব আলমসহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
পোষা প্রাণীর টিকা নিতে আসা ময়মনসিংহের আঞ্জুমান আক্তার বলেন, “র্যাবিস খুবই ভয়ংকর রোগ। তাই আমি নিয়মিত আমি আমার পোষা বিড়ালকে টিকা দিই। এতে আমি যেমন নিশ্চিন্ত থাকি, তেমনি আশপাশের মানুষও নিরাপদ থাকে। সবাইকে আমি বলব- পোষা প্রাণীকে অবশ্যই সময়মতো টিকা দিতে হবে।”