ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

জলঢাকায় লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ঝুকছেন চরের কৃষকরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

নীলফামারী জলঢাকায় তিস্তা নদীর বিস্তৃর্ণ ধু ধু বালুচর এখন সবুজে সবুজ। যেদিকে চোখ যায়, শুধুই পেঁয়াজের আবাদ। গেল বন্যায় রোপা আমনে সর্বশান্ত হওয়ার পরে এবার লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ঝুকছেন ওই চরের কৃষকরা। এবার পেঁয়াজের দাম বেশি পাবে বলে আশা করছে। আবহাওয়া অনুকূলে, রোগ বালাই কম। বড় কোনো প্রকৃতিক বিপর্যয় না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চরের চাষিরা।

জানা গেছে, কয়েক বছর পেঁয়াজের সঙ্কট এবং দাম বেশি হওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম ও তামাকের বদলে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন তারা।

উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী, কৈইমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন।

সরেজমিনে গিয়ে কৈইমারী ইউনিয়নের মৌজা শৌলমারী এলাকার কৃষক আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুর রহমান,আজিজুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রত্যেকেই ৩/৪ বিঘা করে করে পেয়াজ চাষ করেছেন। ১৫শ টাকার বীজ কিনে রোপণ করে শতক প্রতি এক থেকে দেড় মণ করে পেঁয়াজ ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষক জামিয়ার রহমান বলেন, সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই খেতে।৫০ শতক জমিতে ৭০ থেকে ৮০ মণ পেঁয়াজ পেলে বাজার অনুযায়ী মণপ্রতি ৫ থেকে ৬ শত টাকা দরে বিক্রি করলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আসবে। আব্দুল্লাহ বলেন, ‘খরচ ও পরিশ্রম কম কিন্তু ভালো ফলন হওয়ায় চরের অধিকাংশ কৃষকেরাই এখন এই পেঁয়াজ চাষের দিকেই ঝুঁকছেন। সহজ সেচ ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে চরের পেঁয়াজ চাষ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ জানান, তিস্তার চরে এখন বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি হচ্ছে। চরাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী ফসল হিসাবে ৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে বিঘা প্রতি ৬০/৭০ মন পেঁয়াজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর মসলা জাতীয় এই ফসলে কৃষকরা সময়সময় লাভবান হন। চরের কৃষকদের ভালো ফলনের জন্য আমরা কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ বীজ থেকে শুরু করে অন্যান্য উপকরণাদি সরবরাহ করে যাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

জলঢাকায় লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ঝুকছেন চরের কৃষকরা

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

নীলফামারী জলঢাকায় তিস্তা নদীর বিস্তৃর্ণ ধু ধু বালুচর এখন সবুজে সবুজ। যেদিকে চোখ যায়, শুধুই পেঁয়াজের আবাদ। গেল বন্যায় রোপা আমনে সর্বশান্ত হওয়ার পরে এবার লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ঝুকছেন ওই চরের কৃষকরা। এবার পেঁয়াজের দাম বেশি পাবে বলে আশা করছে। আবহাওয়া অনুকূলে, রোগ বালাই কম। বড় কোনো প্রকৃতিক বিপর্যয় না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চরের চাষিরা।

জানা গেছে, কয়েক বছর পেঁয়াজের সঙ্কট এবং দাম বেশি হওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় গম ও তামাকের বদলে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন তারা।

উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী, কৈইমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন।

সরেজমিনে গিয়ে কৈইমারী ইউনিয়নের মৌজা শৌলমারী এলাকার কৃষক আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুর রহমান,আজিজুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রত্যেকেই ৩/৪ বিঘা করে করে পেয়াজ চাষ করেছেন। ১৫শ টাকার বীজ কিনে রোপণ করে শতক প্রতি এক থেকে দেড় মণ করে পেঁয়াজ ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষক জামিয়ার রহমান বলেন, সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই খেতে।৫০ শতক জমিতে ৭০ থেকে ৮০ মণ পেঁয়াজ পেলে বাজার অনুযায়ী মণপ্রতি ৫ থেকে ৬ শত টাকা দরে বিক্রি করলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আসবে। আব্দুল্লাহ বলেন, ‘খরচ ও পরিশ্রম কম কিন্তু ভালো ফলন হওয়ায় চরের অধিকাংশ কৃষকেরাই এখন এই পেঁয়াজ চাষের দিকেই ঝুঁকছেন। সহজ সেচ ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে চরের পেঁয়াজ চাষ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ জানান, তিস্তার চরে এখন বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি হচ্ছে। চরাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী ফসল হিসাবে ৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে বিঘা প্রতি ৬০/৭০ মন পেঁয়াজ উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর মসলা জাতীয় এই ফসলে কৃষকরা সময়সময় লাভবান হন। চরের কৃষকদের ভালো ফলনের জন্য আমরা কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ বীজ থেকে শুরু করে অন্যান্য উপকরণাদি সরবরাহ করে যাচ্ছি।