শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা:-ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান আবদুল্লাহ। এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে বেনাপোলে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন শেষে দুপুর ৩টায় নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান। তিনি আব্দুল্লাহর মামা ইস্রাফিল সরদার ও তার বড় ভাই মিঠুর সাথে কথা বলেন। উপদেষ্টা শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান। তিনি কবর দেওয়ার স্থানও পরিদর্শন করেন।
যশোরের শার্শার বেনাপোল থানার বড়আঁচড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আবদুল্লাহ পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুরান ঢাকার বংশাল থানার সামনে আবদুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। তার কপালে গুলি লাগে। তিনি প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে তাকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে চলে যান। তবে বাড়ি যাওয়ার পর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার প্রচন্ড ব্যথা শুরু হলে তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতাল পরে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তার মাথার ভেতরে সংক্রমণ শনাক্ত করেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সিএমএইচের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নুসরাত জাহান বলেন, আবদুল্লাহ শুরু থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
আব্দুল্লাহর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার থেকে জানা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.