নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাবির এফ রহমান হলে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে তার রুম ভাঙচুরের সময় সেখানে তিনি ছিলেন না।
এদিকে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের রুমেও ভাঙচুল চালানো হয়েছে।
এরইমধ্যে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী সময় সংবাদকে জানান, কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সকালে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।
এদিকে ঢাবির সবগুলো নারীদের হল থেকে ছাত্রলীগের নেত্রীদের বের করে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়বেন বলে হুংকার দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি, বিনয়ের পরিচয় দিয়েছি, যৌক্তিক পরিকল্পিত উপায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু আজ আমরা মনে করি যে, আন্দোলনকে কন্ট্রোল করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা লালন করে না তারা। তাদের হাতেই আন্দোলনের রিমোট কন্ট্রোল চলে গেছে।
সাদ্দাম বলেন, এ জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজনৈতিকভাবে এটি (কোটা সংস্কার আন্দোলন) মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা নৈরাজ্য করবে, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে, আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি সাংগঠনিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এটি মোকাবিলা করার জন্য। যারা আজও বাংলাদেশে থেকেও ‘আমি রাজাকার’ বলার হিম্মত দেখায়, তাদের শেষ দেখিয়েই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়বে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.