ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

ছাত্রলীগ সভাপতির হলের কক্ষ ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাবির এফ রহমান হলে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে তার রুম ভাঙচুরের সময় সেখানে তিনি ছিলেন না।

এদিকে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের রুমেও ভাঙচুল চালানো হয়েছে।

এরইমধ্যে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী সময় সংবাদকে জানান, কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সকালে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।

এদিকে ঢাবির সবগুলো নারীদের হল থেকে ছাত্রলীগের নেত্রীদের বের করে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়বেন বলে হুংকার দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি, বিনয়ের পরিচয় দিয়েছি, যৌক্তিক পরিকল্পিত উপায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু আজ আমরা মনে করি যে, আন্দোলনকে কন্ট্রোল করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা লালন করে না তারা। তাদের হাতেই আন্দোলনের রিমোট কন্ট্রোল চলে গেছে।

সাদ্দাম বলেন, এ জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজনৈতিকভাবে এটি (কোটা সংস্কার আন্দোলন) মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যারা নৈরাজ্য করবে, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে, আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি সাংগঠনিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এটি মোকাবিলা করার জন্য। যারা আজও বাংলাদেশে থেকেও ‘আমি রাজাকার’ বলার হিম্মত দেখায়, তাদের শেষ দেখিয়েই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ছাত্রলীগ সভাপতির হলের কক্ষ ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাবির এফ রহমান হলে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে তার রুম ভাঙচুরের সময় সেখানে তিনি ছিলেন না।

এদিকে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের রুমেও ভাঙচুল চালানো হয়েছে।

এরইমধ্যে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী সময় সংবাদকে জানান, কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে সকালে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।

এদিকে ঢাবির সবগুলো নারীদের হল থেকে ছাত্রলীগের নেত্রীদের বের করে দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়বেন বলে হুংকার দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি, বিনয়ের পরিচয় দিয়েছি, যৌক্তিক পরিকল্পিত উপায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু আজ আমরা মনে করি যে, আন্দোলনকে কন্ট্রোল করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা লালন করে না তারা। তাদের হাতেই আন্দোলনের রিমোট কন্ট্রোল চলে গেছে।

সাদ্দাম বলেন, এ জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজনৈতিকভাবে এটি (কোটা সংস্কার আন্দোলন) মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যারা নৈরাজ্য করবে, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে, আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি সাংগঠনিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এটি মোকাবিলা করার জন্য। যারা আজও বাংলাদেশে থেকেও ‘আমি রাজাকার’ বলার হিম্মত দেখায়, তাদের শেষ দেখিয়েই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়বে।