ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

ছাগলকাণ্ডের সেই ছাগল এখন কোথায়

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

এবারের কোরবানির ঈদে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’র ১৫ লাখ টাকার ছাগল। মূলত ওই ফার্মে বিপুল পরিমাণ টাকায় ছাগল কিনতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। এরপর বেরিয়ে আসে ওই তরুণের বাবা মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন কর্মকর্তা। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এতো টাকায় ছাগল কিনতে আসে, এ নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ফাঁস হয় মতিউর রহমানের দুর্নীতির খবর।

ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর এনবিআরের পদ হারান মতিউর, সরে যেতে হয় সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও। বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মতিউরসহ তার স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার সম্পদের অনুসন্ধানেও নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় মতিউরের নামে বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদের খোঁজ মিলেছে। মতিউরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও আছে শতকোটি টাকা।

এদিকে ছাগলকাণ্ডে প্যাঁচে পড়েছে ‘সাদিক এগ্রো’ খামারও। অভিযোগ ওঠে এসেছে, ওই খামারের মালিক শাহ ইমরান হোসেন একজন গরু চোরাচালানকারী। তিনি ও তার সিন্ডিকেট বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু নিয়ে আসেন দেশে। শুধু তাই নয়, মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন আশপাশের খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাকে গড়ে ওঠে খামারটি। এরপরেই বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে খামারটি উচ্ছেদ করতে অভিযানে নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

তবে, সবার মনে একটাই প্রশ্ন যেই ছাগল নিয়ে এতো কাণ্ড সেটি এখন কোথায়? সাদিক অ্যাগ্রোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬২ ইঞ্চি উচ্চতার ওই ছাগলটি খামারেই আছে। ছাগলটি এখনও বিক্রি হয়নি। ঈদের সময় ছাগলটির ওজন ১৭৫ কেজি থাকলেও এখন ওজন কিছুটা কমেছে।

জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাই পথে আলোচিত বিটল জাতের ছাগলটি সাদিক অ্যাগ্রোতে আনা হয়। বাংলাদেশের বাজারে এই ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকানো হলেও ভারতে এর দাম ২ থেকে ৩ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, সাদেক অ্যাগ্রোর আলোচিত ১৫ লাখ টাকার বিটল জাতীয় ছাগল মূলত পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও ভারতের রাজস্থান পুনেসহ কয়েকটি রাজ্যে দেখা যায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া এ ধরনের ছাগল বেড়ে ওঠে না। ফলে দেশের কোন খামারে তো নয়ই কোন হাটেও এ ধরনের ছাগল বিক্রি হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ছাগলকাণ্ডের সেই ছাগল এখন কোথায়

আপডেট সময় : ০৮:২৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

এবারের কোরবানির ঈদে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’র ১৫ লাখ টাকার ছাগল। মূলত ওই ফার্মে বিপুল পরিমাণ টাকায় ছাগল কিনতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। এরপর বেরিয়ে আসে ওই তরুণের বাবা মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন কর্মকর্তা। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এতো টাকায় ছাগল কিনতে আসে, এ নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ফাঁস হয় মতিউর রহমানের দুর্নীতির খবর।

ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর এনবিআরের পদ হারান মতিউর, সরে যেতে হয় সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও। বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মতিউরসহ তার স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার সম্পদের অনুসন্ধানেও নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় মতিউরের নামে বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদের খোঁজ মিলেছে। মতিউরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও আছে শতকোটি টাকা।

এদিকে ছাগলকাণ্ডে প্যাঁচে পড়েছে ‘সাদিক এগ্রো’ খামারও। অভিযোগ ওঠে এসেছে, ওই খামারের মালিক শাহ ইমরান হোসেন একজন গরু চোরাচালানকারী। তিনি ও তার সিন্ডিকেট বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু নিয়ে আসেন দেশে। শুধু তাই নয়, মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন আশপাশের খাল ও সড়কের জায়গায় অবৈধভাকে গড়ে ওঠে খামারটি। এরপরেই বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে খামারটি উচ্ছেদ করতে অভিযানে নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

তবে, সবার মনে একটাই প্রশ্ন যেই ছাগল নিয়ে এতো কাণ্ড সেটি এখন কোথায়? সাদিক অ্যাগ্রোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬২ ইঞ্চি উচ্চতার ওই ছাগলটি খামারেই আছে। ছাগলটি এখনও বিক্রি হয়নি। ঈদের সময় ছাগলটির ওজন ১৭৫ কেজি থাকলেও এখন ওজন কিছুটা কমেছে।

জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাই পথে আলোচিত বিটল জাতের ছাগলটি সাদিক অ্যাগ্রোতে আনা হয়। বাংলাদেশের বাজারে এই ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকানো হলেও ভারতে এর দাম ২ থেকে ৩ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, সাদেক অ্যাগ্রোর আলোচিত ১৫ লাখ টাকার বিটল জাতীয় ছাগল মূলত পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও ভারতের রাজস্থান পুনেসহ কয়েকটি রাজ্যে দেখা যায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া এ ধরনের ছাগল বেড়ে ওঠে না। ফলে দেশের কোন খামারে তো নয়ই কোন হাটেও এ ধরনের ছাগল বিক্রি হয়নি।