ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গার সদরে দামুড়হুদায় রমরমা সুদের ব্যবসা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন হাউলী গ্রামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা। সুদের উপর নেওয়া মূল টাকার ৮/১০ গুন টাকা বেশি দিলেও শোধ হচ্ছে না ঋণ। বর্তমা‌নে সু‌দের টাকা দি‌তে না পারায় এলাকা ছে‌ড়ে পা‌লি‌য়ে বেড়া‌চ্ছে ঋণ বা সু‌দে টাকা ধার নেওয়া ভুক্ত‌ভোগী ৮টি প‌রিবার।এমন আজব সুদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ সুদের টাকার বোঁঝা টানতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।এ থেকে পরিত্রান পেতে ৮জন ভুক্তভ’গি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ডা. কিসিঞ্জার চাকমা ও পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এরা হলেন উপ‌জেলার হাউ‌লি গ্রামের বখতিয়ার হোসেনর স্ত্রী মোছাঃ রুবিনা খাতুন, আতর আলির স্ত্রী শাহিনা খাতুন, ছবদুলের স্ত্রী রমেলা খাতুন, আকু হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন, রশিদুলের স্ত্রী ছালেহা খাতুন, বাহারুলের স্ত্রী ডলি খাতুন, খতিবের স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও নাসির উদ্দীনের স্ত্রী শিউলি খাতুন।অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার পুরাতন হাউলী গ্রামের করম আলির স্ত্রী সুদ ব্যাবসায়ী লাখিয়া খাতুনের নিকট সাদা (ব্লাঙ্ক) ব্যাংক চেক জমা ‌দি‌য়ে একই গ্রামের শাহিনা খাতুন প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা সু‌দে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করে। এভা‌বে প্র‌তিমা‌সে সে সু‌দের কি‌স্তি‌তে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দেওয়ার পরও ২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা দাবী করছে। একই গ্রামের সুরাইয়া খাতুন ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একই ভাবে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করারপরো ২ লক্ষ টাকা দাবী করছে। ডলি খাতুন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পরো ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, রমেলা খাতুন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরো ৪ লক্ষ টাকা, রুবিনা খাতুন ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিষোধ করেও আরো ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে লা‌খিয়া খাতুন। এই টাকা পরিশোধ না করলে চেক ফেরৎ দেওয়া হবেনা।অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করেন,লাখিয়া খাতুন ভুক্তভুগিদের নিকট থেকে কৌশলে বা হুমকি ধমকি দিয়ে জামানত হিসাবে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে এছাড়া ও সাদা ষ্ঠ্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে রেখে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি দেখানো সহ মামলার হুমকি ও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এমন অভিযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয় পক্ষকে ডেকে জিজ্ঞাসা বাদ করলে লাখিয়া খাতুন কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। সে মুচলেখা দিয়ে চেক ও ষ্ট্যাম্প ফেরৎ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গার সদরে দামুড়হুদায় রমরমা সুদের ব্যবসা

আপডেট সময় : ০৯:০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন হাউলী গ্রামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা। সুদের উপর নেওয়া মূল টাকার ৮/১০ গুন টাকা বেশি দিলেও শোধ হচ্ছে না ঋণ। বর্তমা‌নে সু‌দের টাকা দি‌তে না পারায় এলাকা ছে‌ড়ে পা‌লি‌য়ে বেড়া‌চ্ছে ঋণ বা সু‌দে টাকা ধার নেওয়া ভুক্ত‌ভোগী ৮টি প‌রিবার।এমন আজব সুদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ সুদের টাকার বোঁঝা টানতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।এ থেকে পরিত্রান পেতে ৮জন ভুক্তভ’গি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ডা. কিসিঞ্জার চাকমা ও পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এরা হলেন উপ‌জেলার হাউ‌লি গ্রামের বখতিয়ার হোসেনর স্ত্রী মোছাঃ রুবিনা খাতুন, আতর আলির স্ত্রী শাহিনা খাতুন, ছবদুলের স্ত্রী রমেলা খাতুন, আকু হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন, রশিদুলের স্ত্রী ছালেহা খাতুন, বাহারুলের স্ত্রী ডলি খাতুন, খতিবের স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও নাসির উদ্দীনের স্ত্রী শিউলি খাতুন।অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার পুরাতন হাউলী গ্রামের করম আলির স্ত্রী সুদ ব্যাবসায়ী লাখিয়া খাতুনের নিকট সাদা (ব্লাঙ্ক) ব্যাংক চেক জমা ‌দি‌য়ে একই গ্রামের শাহিনা খাতুন প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা সু‌দে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করে। এভা‌বে প্র‌তিমা‌সে সে সু‌দের কি‌স্তি‌তে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দেওয়ার পরও ২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা দাবী করছে। একই গ্রামের সুরাইয়া খাতুন ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একই ভাবে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করারপরো ২ লক্ষ টাকা দাবী করছে। ডলি খাতুন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পরো ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, রমেলা খাতুন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরো ৪ লক্ষ টাকা, রুবিনা খাতুন ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিষোধ করেও আরো ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে লা‌খিয়া খাতুন। এই টাকা পরিশোধ না করলে চেক ফেরৎ দেওয়া হবেনা।অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করেন,লাখিয়া খাতুন ভুক্তভুগিদের নিকট থেকে কৌশলে বা হুমকি ধমকি দিয়ে জামানত হিসাবে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে এছাড়া ও সাদা ষ্ঠ্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে রেখে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি দেখানো সহ মামলার হুমকি ও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এমন অভিযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয় পক্ষকে ডেকে জিজ্ঞাসা বাদ করলে লাখিয়া খাতুন কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। সে মুচলেখা দিয়ে চেক ও ষ্ট্যাম্প ফেরৎ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।