ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীর

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
আবহাওয়াজনিত কারণে চুয়াডাঙ্গায় অধিকাংশ ঘরে ঘরে ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তিন থেকে সাত দিন জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বয়স্কের সংখ্যায় বেশি।জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে সদর হাসপাতালেও। দুই মেডিসিন ওয়ার্ডে তিল পরিমান জায়গা নেই। মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীর। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা। শুরু জ্বরই নয়, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীরাও আসছেন প্রতিনিয়ত।এছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে শুধুমাত্র ৪০০-৫০০ রোগী জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন।চিকিৎসকরা বলছেন, এটি ভাইরাসজনিত জ্বর। বৃষ্টির কারণে কিছুটা ঠান্ডা আবার বাইরে গরম; তাই এই সময় সাবধান থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড সুত্রে জানা যায়, গত তিন দিনে অর্থাৎ ৭ জুলাই থেকে ১০জুলাই বেলা ৩টা পর্যন্ত দুটি ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয়েছেন ৫৪৫ জন রোগী। এরমধ্যে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ৪৬টি এবং কেবিন ৩টি। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৬৫টি এবং কেবিন ২টি। এর বিপরীতে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬০ জন এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৮৫ জন ভর্তি হয়েছেন গত তিনদিনে। যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুন রোগী ভর্তি আছেন এই দুই ওয়ার্ডে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই জ্বরে আক্রান্ত রোগী।এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দুই ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, মেঝেছে বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিল পরিমান জায়গা নেই। ৮০ শতাংশ রোগী জ্বরে আক্রান্ত। এরমধ্যে বয়োবৃদ্ধদের সংখ্যায় বেশি। এছাড়া, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্ট, হার্টসহ বিভিন্নজনিত রোগে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। একদিকে রোগীদের চাপ, অপরদিকে ভ্যাপসা গরমে রোগী ও স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। এছাড়া চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসক।মোনোয়ারা বেগম নামের এক নারী সাংবাদিকদের কে বলেন, তিন দিন যাবত জ্বরে আক্রান্ত আমার মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। ওয়ার্ডে রোগীদের প্রচণ্ড চাপ। কোন জায়গা নেই। এর আগে আমি কখনো এতো রোগীর চাপ দেখেনি এই ওয়ার্ডে
পারভিন আক্তার নামে অপর এক নারী সাংবাদিকদের কে বলেন, চারদিন আগে আমার শাশুড়ি ঠাণ্ড-জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার ভর্তি করিয়ে দেন। তবে রোগীদের চাপ বেশি থাকলেও চিকিৎসক-নার্সদের সেবা দেয়া কোন ব্যাহত হচ্ছেনা। তাদেরকে ডাকার সাথে সাথে এসে সেবা দিচ্ছেন।কর্তব্যরত নার্সরা আগামী দর্পণকে জানান, ওয়ার্ডে জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্নজনিত আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। সব থেকে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটাই বেশি। ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীদের চাপ বেশি হলেও সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন আগামী দর্পণকে বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। ধারণ ক্ষমতার থেকে প্রায় দ্বিগুন রোগী আছে বর্তমানে। বেশির ভাগ রোগীই ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে কিছুটা ঠান্ডা আবার বাইরে গরম, আর এই আবহাওয়াজনিত কারণেই জ্বর হচ্ছে প্রায় মানুষের। এই সময়টাতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন জ্বর-কাশি আক্রান্ত হয়েছে ৪০০-৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীর

আপডেট সময় : ১০:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
আবহাওয়াজনিত কারণে চুয়াডাঙ্গায় অধিকাংশ ঘরে ঘরে ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তিন থেকে সাত দিন জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বয়স্কের সংখ্যায় বেশি।জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে সদর হাসপাতালেও। দুই মেডিসিন ওয়ার্ডে তিল পরিমান জায়গা নেই। মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীর। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা। শুরু জ্বরই নয়, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীরাও আসছেন প্রতিনিয়ত।এছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে শুধুমাত্র ৪০০-৫০০ রোগী জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন।চিকিৎসকরা বলছেন, এটি ভাইরাসজনিত জ্বর। বৃষ্টির কারণে কিছুটা ঠান্ডা আবার বাইরে গরম; তাই এই সময় সাবধান থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড সুত্রে জানা যায়, গত তিন দিনে অর্থাৎ ৭ জুলাই থেকে ১০জুলাই বেলা ৩টা পর্যন্ত দুটি ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয়েছেন ৫৪৫ জন রোগী। এরমধ্যে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ৪৬টি এবং কেবিন ৩টি। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৬৫টি এবং কেবিন ২টি। এর বিপরীতে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬০ জন এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৮৫ জন ভর্তি হয়েছেন গত তিনদিনে। যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুন রোগী ভর্তি আছেন এই দুই ওয়ার্ডে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই জ্বরে আক্রান্ত রোগী।এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দুই ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায়, মেঝেছে বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিল পরিমান জায়গা নেই। ৮০ শতাংশ রোগী জ্বরে আক্রান্ত। এরমধ্যে বয়োবৃদ্ধদের সংখ্যায় বেশি। এছাড়া, জ্বরের সাথে কাশি, শ্বাসকষ্ট, হার্টসহ বিভিন্নজনিত রোগে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। একদিকে রোগীদের চাপ, অপরদিকে ভ্যাপসা গরমে রোগী ও স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। এছাড়া চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসক।মোনোয়ারা বেগম নামের এক নারী সাংবাদিকদের কে বলেন, তিন দিন যাবত জ্বরে আক্রান্ত আমার মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। ওয়ার্ডে রোগীদের প্রচণ্ড চাপ। কোন জায়গা নেই। এর আগে আমি কখনো এতো রোগীর চাপ দেখেনি এই ওয়ার্ডে
পারভিন আক্তার নামে অপর এক নারী সাংবাদিকদের কে বলেন, চারদিন আগে আমার শাশুড়ি ঠাণ্ড-জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার ভর্তি করিয়ে দেন। তবে রোগীদের চাপ বেশি থাকলেও চিকিৎসক-নার্সদের সেবা দেয়া কোন ব্যাহত হচ্ছেনা। তাদেরকে ডাকার সাথে সাথে এসে সেবা দিচ্ছেন।কর্তব্যরত নার্সরা আগামী দর্পণকে জানান, ওয়ার্ডে জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্নজনিত আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। সব থেকে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটাই বেশি। ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীদের চাপ বেশি হলেও সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। আমরা সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন আগামী দর্পণকে বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। ধারণ ক্ষমতার থেকে প্রায় দ্বিগুন রোগী আছে বর্তমানে। বেশির ভাগ রোগীই ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে কিছুটা ঠান্ডা আবার বাইরে গরম, আর এই আবহাওয়াজনিত কারণেই জ্বর হচ্ছে প্রায় মানুষের। এই সময়টাতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন জ্বর-কাশি আক্রান্ত হয়েছে ৪০০-৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।