চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের উপর হামলা

- আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ৭২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবু(৩০)।পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলার জন্য পুলিশ ক্যাম্পে এসে মাথা ফেটে যাওয়া বাবুকে লাইভে কান্নাকাটি করতেও দেখা গেছে।
বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামের আবু মুছা খানের ছেলে বর্তমানে ছাত্র অধিকার পরিষদের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবু(৩০) জমিজমা সংক্রান্তের ব্যাপারে পিতা ও এক মহুরীর সাথে শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পে আসে। এসময় গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২/১৪ জনের একদল যুবক এসে পুলিশের উপস্থিতিতেই বাবুর উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। দুপুর ১ টায় বাবু ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে বলেন, আমি শাহাপুর ক্যাম্পে আছি। পুলিশের এএসআই মামুনের সামনে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমাকে যখন মারধর করছে তখন গড়াইটুপি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির লোকজন ছিল সেখানে। গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মারধর করা হয়।কিছুক্ষণ পর আরেকটি ফেসবুক লাইভে আসেন মেহেদী হাসান খান বাবু। সেই লাইভে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘অনেকে যারা ফোন দিচ্ছেন, আমি ধরতে পারছি না। আমি এখনো শাহাপুর ক্যাম্পেই আছি। শুধু প্রতিহিংসার কারণেই আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আর আমি যদি মারাও যাই, আমি বিএনপির যে কয়জনের নাম বলে গেছি তারা দোষী। আমার ওপর হামলায় বেশিরভাগ জড়িত ছিল গড়াইটুপি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি লোকজন।’
এ বিষয়ে শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা দু পক্ষের নিয়ে বসেছিলাম। সেটা সমাধানও হয়েছে। মীমাংসা শেষে দুপুর ১ টার দিকে তারা চলে যাওয়ার সময় কয়েকজন তার উপর হামলা করে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বিশ্বাস বলেন, ক্যাম্পের আইসি বিষয় মীমাংসা করে কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক বাবুকে বাড়িতে পৌঁছে যায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগায