মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা মরিচ ও সবধরনের সবজির পর এবার আগুন লেগেছে চালের বাজারে। গত তিন সপ্তাহে কয়েক দফায় মূল্য বৃদ্ধি হলেও দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরবরাহ কম এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন বিক্রেতারা। এদিকে কাঁচা মরিচ ও সকল ধরনের সবজির মূল্য কিছুটা কমলেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সকল ধরনের মাছ ও মুরগি। বাজারে ২শ’ টাকার নিচে মাছ পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মুরগির মূল্য জাত ভেদে ২শ’ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৬শ’ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।জেলায় কারফিউ পরিস্থিতি শিথিলতায় কিছুটা স্বাভাবিক হলেও তার প্রভাব পড়েনি চালের দামে। গত তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা চাউলের মূল্য আরেক দফা বস্তা প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা। স্বর্ণা চালের ২৫ কেজি বস্তা ১২শ’ টাকায় বিক্রি হলেও তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০-৭০ টাকায়। আটাশ জাতের চাল ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩শ’ ৭০ টাকায়। এছাড়াও পাইজাম ৭৪, পারিজা, মিনিকেটসহ সকল ধরনের চাল এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ।চুয়াডাঙ্গার চাহিদার অধিকাংশ চাল আসে কুষ্টিয়ার খাজানগর, বল্লবপুর, আইলচারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও জীবননগর এলাকা থেকে। এসব এলাকা থেকে আমদানি যারা করে থাকেন তারা বলছেন, খাজানগরেই চালের মূল্য বেশি। যা পরিবহন করে এনে আগের দামে বিক্রি করা কঠিন।
শহরের নিচের বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, মোকাম থেকেই কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। রেল বাজারের চাল সরবরাহকারীরা জানান, চালের মূল্য অনেক বেশি। প্রতি ২৫ কেজি বস্তার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত।
আরও কয়েকজন চাউল বিক্রেতা জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে চাল মিলে উৎপাদন বন্ধ ছিলো। তাছাড়া হঠাৎ উৎপাদন শুরু করে প্রয়োজনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে যার প্রভাব পড়ছে বাজারে
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.