ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে উদয়ন দুর্গা মন্দিরে ৮৪ তম দুর্গোৎসব ও অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহোৎসব উদযাপিত আলমডাঙ্গায় জমি বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৩ চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা ঝালের কেজি ৩২০ টাকা দিশেহারা ক্রেতা ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প

চুয়াডাঙ্গায় চালের বাজারে আগুন, সবজির বাজার ও থেমে নেই

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা মরিচ ও সবধরনের সবজির পর এবার আগুন লেগেছে চালের বাজারে। গত তিন সপ্তাহে কয়েক দফায় মূল্য বৃদ্ধি হলেও দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরবরাহ কম এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন বিক্রেতারা। এদিকে কাঁচা মরিচ ও সকল ধরনের সবজির মূল্য কিছুটা কমলেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সকল ধরনের মাছ ও মুরগি। বাজারে ২শ’ টাকার নিচে মাছ পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মুরগির মূল্য জাত ভেদে ২শ’ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৬শ’ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।জেলায় কারফিউ পরিস্থিতি শিথিলতায় কিছুটা স্বাভাবিক হলেও তার প্রভাব পড়েনি চালের দামে। গত তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা চাউলের মূল্য আরেক দফা বস্তা প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা। স্বর্ণা চালের ২৫ কেজি বস্তা ১২শ’ টাকায় বিক্রি হলেও তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০-৭০ টাকায়। আটাশ জাতের চাল ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩শ’ ৭০ টাকায়। এছাড়াও পাইজাম ৭৪, পারিজা, মিনিকেটসহ সকল ধরনের চাল এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ।চুয়াডাঙ্গার চাহিদার অধিকাংশ চাল আসে কুষ্টিয়ার খাজানগর, বল্লবপুর, আইলচারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও জীবননগর এলাকা থেকে। এসব এলাকা থেকে আমদানি যারা করে থাকেন তারা বলছেন, খাজানগরেই চালের মূল্য বেশি। যা পরিবহন করে এনে আগের দামে বিক্রি করা কঠিন।
শহরের নিচের বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, মোকাম থেকেই কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। রেল বাজারের চাল সরবরাহকারীরা জানান, চালের মূল্য অনেক বেশি। প্রতি ২৫ কেজি বস্তার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত।
আরও কয়েকজন চাউল বিক্রেতা জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে চাল মিলে উৎপাদন বন্ধ ছিলো। তাছাড়া হঠাৎ উৎপাদন শুরু করে প্রয়োজনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে যার প্রভাব পড়ছে বাজারে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গায় চালের বাজারে আগুন, সবজির বাজার ও থেমে নেই

আপডেট সময় : ১০:১৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গায় কাঁচা মরিচ ও সবধরনের সবজির পর এবার আগুন লেগেছে চালের বাজারে। গত তিন সপ্তাহে কয়েক দফায় মূল্য বৃদ্ধি হলেও দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরবরাহ কম এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন বিক্রেতারা। এদিকে কাঁচা মরিচ ও সকল ধরনের সবজির মূল্য কিছুটা কমলেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সকল ধরনের মাছ ও মুরগি। বাজারে ২শ’ টাকার নিচে মাছ পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মুরগির মূল্য জাত ভেদে ২শ’ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৬শ’ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।জেলায় কারফিউ পরিস্থিতি শিথিলতায় কিছুটা স্বাভাবিক হলেও তার প্রভাব পড়েনি চালের দামে। গত তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা চাউলের মূল্য আরেক দফা বস্তা প্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা। স্বর্ণা চালের ২৫ কেজি বস্তা ১২শ’ টাকায় বিক্রি হলেও তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০-৭০ টাকায়। আটাশ জাতের চাল ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩শ’ ৭০ টাকায়। এছাড়াও পাইজাম ৭৪, পারিজা, মিনিকেটসহ সকল ধরনের চাল এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ।চুয়াডাঙ্গার চাহিদার অধিকাংশ চাল আসে কুষ্টিয়ার খাজানগর, বল্লবপুর, আইলচারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও জীবননগর এলাকা থেকে। এসব এলাকা থেকে আমদানি যারা করে থাকেন তারা বলছেন, খাজানগরেই চালের মূল্য বেশি। যা পরিবহন করে এনে আগের দামে বিক্রি করা কঠিন।
শহরের নিচের বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, মোকাম থেকেই কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে। রেল বাজারের চাল সরবরাহকারীরা জানান, চালের মূল্য অনেক বেশি। প্রতি ২৫ কেজি বস্তার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত।
আরও কয়েকজন চাউল বিক্রেতা জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে চাল মিলে উৎপাদন বন্ধ ছিলো। তাছাড়া হঠাৎ উৎপাদন শুরু করে প্রয়োজনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে যার প্রভাব পড়ছে বাজারে