ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্র গরমে মানুষ দুর্ভোগে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২২ শতাংশ।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, দুপুর ১২টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩১ শতাংশ। বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ২২ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কয়েকদিন। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় প্রথম মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তাপমাত্রার হিসাবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল টানা পাঁচ দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। ৬ এপ্রিল ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত হয়। এরপর থেকে ৩৮-৪০ ডিগ্রির মধ্যে টানা তাপপ্রবাহ চলছে।

এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তেজ ও গরম দুটোই বাড়তে থাকে।

অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। রাস্তার পাশের শরবতের দোকান থেকে গলা ভেজাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একটু স্বস্তির আশায় গাছের নিচে ও ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।

প্রসঙ্গত, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্র গরমে মানুষ দুর্ভোগে

আপডেট সময় : ০১:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২২ শতাংশ।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, দুপুর ১২টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩১ শতাংশ। বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ২২ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কয়েকদিন। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় প্রথম মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তাপমাত্রার হিসাবে ১ থেকে ৫ এপ্রিল টানা পাঁচ দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল। ৬ এপ্রিল ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত হয়। এরপর থেকে ৩৮-৪০ ডিগ্রির মধ্যে টানা তাপপ্রবাহ চলছে।

এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তেজ ও গরম দুটোই বাড়তে থাকে।

অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। রাস্তার পাশের শরবতের দোকান থেকে গলা ভেজাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একটু স্বস্তির আশায় গাছের নিচে ও ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।

প্রসঙ্গত, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বলা হয়।