প্রতিবেদক:-গালিব খাঁন কুড়িগ্রাম জেলা।
একটি শিশুর মৃত্যু মানে কেবল একটি জীবন নিভে যাওয়া নয়—তা মানে এক সম্ভাবনার, এক পরিবারিক স্বপ্নের, এক সামাজিক দায়িত্ববোধের নিষ্ঠুর অপমৃত্যু।
বিকেলের নরম রোদ আর পাখিদের ডাকের মধ্যে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে যায় যখন সামিয়া আক্তার নামের এক বছরের এক শিশু খেলার ছলে ঘর থেকে একটু দূরে যায়।
ঠিক তখনই একটি ট্রাক্টর, অদূর থেকে আসা গর্জনসহকারে, তার দিকে ধেয়ে আসে। কারো নজরে না পড়া ছোট্ট শরীরটি চাপা পড়ে ট্রাক্টরের নিচে। মুহূর্তেই থেমে যায় হাসি, স্তব্ধ হয়ে যায় মাতৃত্বের স্বরলিপি।
তার মা ছিল সামনেই—চোখের সামনে একবছরের ফুটফুটে মেয়েটির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তিনি কেবল চিৎকার করতে পারেন। সে কান্না যেন গড়িয়ে যায় গ্রামের প্রতিটি পাঁকা-আধাপাকা রাস্তায়।
একটি শিশু মারা গেল—হ্যাঁ, সেটি একটি খবর। কিন্তু এটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, এটি একটি সমাজের আয়না, যেখানে শিশুরাও নিরাপদ নয় একটি সাধারণ বিকেলে।
কতটা অসতর্ক হতে পারলে একটি ট্রাক্টর চালক এভাবে চলাফেরা করতে পারে? কে দায় নেবে সামিয়ার এই নিষ্পাপ মৃত্যুর?
তথ্যসূত্র:
উলিপুর বার্তা (Facebook Page)
স্থানীয় প্রতিবেদন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.