ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুবদিয়ায় গাঁজা ও ইয়াবা নিয়ে দুইগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৩ ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের পথসভা চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইক চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শারীরিক শিক্ষার মধ্যেই লুকিয়ে আছে নেতৃত্বের বীজ-পবিপ্রবি ভিসি ড.রফিকুল ইসলাম দেবহাটার নির্বাহী কর্মকর্তা মিলন সাহা’র সাথে সাহিত্য পরিষদের মতবিনিময় চাকসুতে ছাত্র শিবিরের স্মরণীয় বিজয় ভিপি-জিএস’সহ ২৬-এ ২৪ পদে বিজয়ী উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইউসুফ তালুকদারের পিতার ৮ ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন বকশীগঞ্জে বিজিবির অভিযানে ৯৩ পিস ইয়াবাসহ একজন আটক কালীগঞ্জে রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা খাজুরা কলেজে ৩০০ জন পরীক্ষার্থী ফেল, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন

চাকসুতে ছাত্র শিবিরের স্মরণীয় বিজয় ভিপি-জিএস’সহ ২৬-এ ২৪ পদে বিজয়ী

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:চাকসু নির্বাচনে ছাত্র শিবিরের স্মরণীয় বিজয়ের রেকর্ড । চাকসুর ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী ছাত্র শিবির বিজয়। দীর্ঘ তিন যুগ পরে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহ সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) সহ ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর রাত চারটার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি জয় পেয়েছেন।

চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭২২১টি আর জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭২৯৫টি। অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬৪৪১টি।

চাকসু নির্বাচনে গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।

এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হয়। এজন্য ছিল ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫১৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৭১৭ জন ভোট দিয়েছেন। মোট ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ।

ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালের পর আবার চাকসুর নেতৃত্বে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী আদর্শের এই ছাত্রসংগঠন। অবশ্য ১৯৯০ সালের চাকসু নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা জেতেনি। সেবার ঐক্য প্যানেল শিবিরকে পরাজিত করেছিল। এসব হিসাবের বাইরে প্রচলিত রয়েছে, ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আশির দশক থেকে আধিপত্য বজায় রেখেছে ইসলামী ছাত্র শিবির।

চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।

এর আগে দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত একটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এমন উদবুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চাকসুতে ছাত্র শিবিরের স্মরণীয় বিজয় ভিপি-জিএস’সহ ২৬-এ ২৪ পদে বিজয়ী

আপডেট সময় : ০৪:৪১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মোহাম্মদ মাসুদ:চাকসু নির্বাচনে ছাত্র শিবিরের স্মরণীয় বিজয়ের রেকর্ড । চাকসুর ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী ছাত্র শিবির বিজয়। দীর্ঘ তিন যুগ পরে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহ সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) সহ ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর রাত চারটার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি জয় পেয়েছেন।

চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭২২১টি আর জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭২৯৫টি। অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬৪৪১টি।

চাকসু নির্বাচনে গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।

এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হয়। এজন্য ছিল ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫১৬ জন ভোটারের মধ্যে ১৭ হাজার ৭১৭ জন ভোট দিয়েছেন। মোট ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ।

ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালের পর আবার চাকসুর নেতৃত্বে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী আদর্শের এই ছাত্রসংগঠন। অবশ্য ১৯৯০ সালের চাকসু নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা জেতেনি। সেবার ঐক্য প্যানেল শিবিরকে পরাজিত করেছিল। এসব হিসাবের বাইরে প্রচলিত রয়েছে, ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আশির দশক থেকে আধিপত্য বজায় রেখেছে ইসলামী ছাত্র শিবির।

চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।

এর আগে দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত একটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এমন উদবুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।