চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নিউজের জেরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে জবাই করে হত্যা
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ১০:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ: চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নিউজ করায় গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে জবাই করে হত্যা। বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিক তুহিনকে গলা কেটে হত্যা। লাইভই কাল হলো সাংবাদিক তুহিনের। এমন লোমহর্ষক হত্যাকান্ডে নিরাপত্তাহীনতায় জনসাধারণ। নির্মম হত্যাকাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়ায়। সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে। তীব্র নেতিবাচক কোন সনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সমালোচনার জড় উঠে জনমনে।
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় সাংবাদিক তুহিনকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে একটি ভয়াবহ, মর্মান্তিক এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তুহিনের মতো একজন সাহসী সাংবাদিককে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা শুধু তার পরিবার নয়—সারা দেশের সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে, চৌরাস্তা এলাকায়, জনসম্মুখে। পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপট: বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে তিনি ফেসবুক লাইভে প্রতিবেদন করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিবেদনই তার হত্যার মূল কারণ।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য: মসজিদ মার্কেট এলাকায় ছিনতাইয়ের ভিডিও ধারণ করায় তিনি ছিনতাইকারীদের রোষানলে পড়েন।
পরিপ্রেক্ষিত: এর আগের দিন একই এলাকায় আরেক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকেও হামলার শিকার করা হয়। প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ, আতঙ্ক এবং নিন্দার ঝড়।
সংগঠনগুলোর দাবি: জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার দাবি করেছে।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতা দিনদিন বাড়ছে। একের পর এক সাংবাদিকের ওপর হামলা বা হত্যা প্রমাণ করে, দেশে মাঠপর্যায়ে সাংবাদিকরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এই পরিস্থিতি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
রাষ্ট্রযন্ত্রের ভূমিকা: সাংবাদিক সংগঠনগুলো রাষ্ট্রের নীরবতাকে দায়ী করছে, যা একটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয় যে অপরাধীরা প্রভাবশালী এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা গেছে। সাধারণ মানুষ এবং সহকর্মী সাংবাদিকরা এ ঘটনাকে ঘিরে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছেন।
উক্ত স্বাধীন সংবাদ প্রেসের স্বাধীনতা হুমকির মুখে: এই ধরনের ঘটনা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা আবশ্যক। সরকারের উচিত প্রতিশ্রুতির বাইরে এসে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া। নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
“মসজিদ মার্কেটের সামনে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন এক নারী। ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করেন তুহিন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তার পিছু নেয় ছিনতাইকারীরা,” প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন একজন স্থানীয় সাংবাদিক।
গাজীপুরে একদিনের ব্যবধানে আনোয়ার হোসেন নামে বাংলাদেশের আলো পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধিকে ইট দিয়ে থেঁতলে আহত করা হয়েছে থানার সামনে। তার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার রাতে আসাদুজ্জামান তুহিন কে জবাই করে হত্যা করা হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্র যন্ত্রের নীরবতাকে দায়ী করে অবিলম্বে হত্যাযজ্ঞের নৃশংস ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার দাবি করেন সাংবাদিক মহল সর্বস্তরের সংগঠন ও সকল শ্রেণী পেশার সর্বস্তরের মানুষ।
সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব পালনে মধ্যযুগীয় কাঁয়দায় হত্যা য় চরম নিরাপত্তাহীনতায় সাধারণ মানুষ। শোকাহত সাংবাদিক মহল সচেতন মহল ও দেশবাসী। যার প্রতিবাদ বিবৃতি, সম্পাদিত সংবাদ রিপোর্ট, কিংবা ব্লগ পোস্ট তৈরি করে প্রকাশ প্রচার হতে থাকে মুহূর্তের মধ্যেই। যা সোশ্যাল মিডিয় পত্রিকায় প্রকাশ হয় সকল গণমাধ্যমে।
 
																			 
										
























