চট্টগ্রামে নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ ভাঙচুর আটক-৬: দেশে অস্থিরতা ষড়যন্ত্রে দুর্বৃত্তরা

- আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ ভাঙচুরে আটক-৬জন।আগামীকাল ডিসি হিলের অনুষ্ঠান বাতিল। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি বিপন্ন বিপর্যয় নানা ষড়যন্ত্রে দুষ্কৃতিকারী দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিত হামলা ভাঙচুর চালায়। প্রশাসনের সক্রিয়তাই সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনার সাথে জড়িতরা আটক হয় প্রশাসনের হাতে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দেশের শান্তিপূর্ণ জনজীবনে অস্থিরতা। সংখ্যালঘু ইস্যুতে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। স্বাধীনমত প্রকাশ সকল বর্ণ ধর্ম মত শ্রেণীপেশা মানুষের শান্তিপূর্ণ নিরাপত্তায় সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা লালন ধারণ পালনে বাঁধা ভাঙচুর অনভিপ্রেত অনাকাঙ্ক্ষিত। যা নিরাপদ জীবনের কোন সুস্থ সমাজ দেশ রাষ্ট্রের কাম্য নয়।
চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বৈশাখী মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়েছে। নজরুল স্কয়ারে অনুষ্ঠানস্থলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে কোতোয়ালী থানা। এ সময় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নির্মিত মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া ছিঁড়ে ফেলা হয় ব্যানারও।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে।সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ‘র নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান চলছিল। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ৫০/৬০ জন যুবক এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মঞ্চ এবং দর্শনার্থীদের জন্য রাখা চেয়ার ভাঙচুর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল করিম।
চট্টগ্রামে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ডিসি হিলে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে জমকালো আয়োজন নানা আনুষ্ঠানিকতায়। যুগের পর যুগ বহু বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। কিন্ত কখনো কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলেও এবার অনাকাঙ্ক্ষিত অঘটনের জেরে মঞ্চ এবং চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাক্রমে প্রত্যক্ষদর্শী ও তথ্যমতে বাস্তবতায় জানা যায়, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পেছনে রয়েছে কিছু দুর্বৃত্ত দুষ্কৃতিকারী। যাদের পরিচয় একটাই তারা অন্যায় ও অপরাধী। তাদের কোন রাজনৈতিক দল গোত্র মত নীতি আদর্শের মানুষ হতে পারে না। তারা কোন পক্ষেরই লোক নয়।
দেশে কালো শক্তি অপক্ষমতার আধিপত্যের জেরে অন্তবর্তী কালীন সরকারের কার্যক্রম কে প্রশ্নবিদ্ধ বাধাগ্রস্ত ঘোলাটে করার লক্ষ্যে। একটি পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে প্রকাশ্যে ও গোপনে সুনিবির নানা কৌশলে।
দেশে অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দেশের সুনাম সম্মানহানী ভাবমূর্তি বিনষ্ট। অসৎ উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি। জনমনে অস্থিরতা ভয় আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রামে নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ ভাঙচুর বড় ধরনের অঘটন চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের সক্রিয়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রয়েছে
এসবের অঘটন যার নেপথ্যে রয়েছে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও অপক্ষমতার প্রভাব বিস্তার । দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। জনমনে অস্থিরতা নিরাপত্তাহীনতা নাগরিক জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলায় হল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এমনটাই মন্তব্য করেছে সচেতন মহল ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ জনগণ।
বৈশাখ উদযাপন পরিষদ সমন্বয়কারী সুচরিত দাশ খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সকাল থেকেই আমাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরুর কথা। সে অনুযায়ী মঞ্চ থেকে আনুষাঙ্গিক সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করে ফেলেছিলাম। এর মধ্যে দুর্বৃত্তরা এসে মঞ্চে হামলা করল।
সিএমপি কর্তব্যরত এডিসি কামরুজ্জামান বলেন, অনুষ্ঠান করবে কি করবে না। যারা আয়োজক তারাই ভালো জানে। তবে আমাদেরকে জানিয়েছেন তারা অনুষ্ঠান আগামীকাল আর করছেন না। আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন বাঁধা নেই। তবে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক নিয়মে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে আমাদের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকতা বৈশাখী উদযাপন যাবতীয় কার্যক্রম প্রস্তুতি চলছে যথারীতি চলবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি মো. আবদুল করিম বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে আমাদের আগে থেকেই পর্যাপ্ত সক্রিয় ফোর্স ছিল। সন্ধ্যার দিকে কিছু দুর্বৃত্ত হামলার চেষ্টা করলেও আমরা প্রতিহত করেছি। ঘটনাক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, এই ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুরো এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এর আগে পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আইনগত ব্যবস্থা কার্যক্রম পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।