ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির ঠাকুরগাঁওয়ের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা সাতক্ষীরার চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা আগৈলঝাড়া মসজিদের ইমামের উপর প্রতিপক্ষের হামলা রাণীশংকৈলে অসময়ে বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি.. হতাশাগ্রস্ত কৃষক সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ কার্তিকের অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে অসহায়, সহযোগিতা কামনা ফেনী পৌরসভার মধ্যম বিরিঞ্চির আব্দুস সোবহান মুন্সীর ইন্তেকাল দুমকিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ ‎উপজেলা পর্যায়ে গ্ৰাম আদালত কার্যক্রমের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ‎ কোয়েপাড়ায় সর্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে টানা ভারী বষর্নে ভোগান্তি চরমে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃইয়াছিন আরাফাত, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে রাতভর ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে কোমরপানি জমায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী, শ্রমজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে। এ ছাড়া নিচু এলাকার বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে পানি। নগরের ব্যবসা-বাণিজ্যে ছন্দপতন হয়েছে। নগরের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জলাবদ্ধতা ও যানজটের কারণে চরম ছন্দপতন নেমে আসে জনজীবনে। এর আগে বুধবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। তবে রাত ১১টার পর থেকে শুরু হয় টানা বর্ষণ। সেই ধারা বুধ বৃহ: ও শুক্রবার অব্যাহত থাকে। এ কারণে নগরের চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ, দুই নম্বর গেট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বড়পোল, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় সড়কে হয়েছে কোমরপানি। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল করিম বলেন, ‘বৃষ্টির এ ধারা আর ও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। থেমে থেমে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের অধিকাংশ সড়কে কোমরপানি। ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। কিছু কিছু সিএনজি চললেও পানিতে কয়েকটি সিএনজির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। সড়কের ওপর প্রাইভেট কার ও নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়তি ভাড়া গুনে রিকশায় ভর করে অনেকে রওনা দিয়েছেন অফিসের পথে। নিচু এলাকার অনেক বাসাবাড়িতে ঢুকেছে পানি। তা সেচের মাধ্যমে নিষ্কাশন করতে হয়েছে। অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবেশের কারণে। চট্টগ্রাম নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের কারণে দ্রুত নগরের পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম দেখতে পান নগরবাসী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দুর্ভোগ। এদিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের বড়দিঘীরপাড় এলাকায় সড়কে পানি জমায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া এই সড়কে যাতায়াতকারী ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজানের যোগযোগ দীর্ঘ ২ ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুপুরের দিকে। পরে ২টার দিকে আবার সড়ক যোগাযোগ সচল হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহা অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে বেলা ৩টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চট্টগ্রামে টানা ভারী বষর্নে ভোগান্তি চরমে

আপডেট সময় : ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

মোঃইয়াছিন আরাফাত, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে রাতভর ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে কোমরপানি জমায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী, শ্রমজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে। এ ছাড়া নিচু এলাকার বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে পানি। নগরের ব্যবসা-বাণিজ্যে ছন্দপতন হয়েছে। নগরের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জলাবদ্ধতা ও যানজটের কারণে চরম ছন্দপতন নেমে আসে জনজীবনে। এর আগে বুধবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। তবে রাত ১১টার পর থেকে শুরু হয় টানা বর্ষণ। সেই ধারা বুধ বৃহ: ও শুক্রবার অব্যাহত থাকে। এ কারণে নগরের চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ, দুই নম্বর গেট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বড়পোল, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় সড়কে হয়েছে কোমরপানি। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুল করিম বলেন, ‘বৃষ্টির এ ধারা আর ও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। থেমে থেমে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের অধিকাংশ সড়কে কোমরপানি। ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। কিছু কিছু সিএনজি চললেও পানিতে কয়েকটি সিএনজির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। সড়কের ওপর প্রাইভেট কার ও নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়তি ভাড়া গুনে রিকশায় ভর করে অনেকে রওনা দিয়েছেন অফিসের পথে। নিচু এলাকার অনেক বাসাবাড়িতে ঢুকেছে পানি। তা সেচের মাধ্যমে নিষ্কাশন করতে হয়েছে। অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবেশের কারণে। চট্টগ্রাম নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের কারণে দ্রুত নগরের পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম দেখতে পান নগরবাসী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দুর্ভোগ। এদিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের বড়দিঘীরপাড় এলাকায় সড়কে পানি জমায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া এই সড়কে যাতায়াতকারী ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজানের যোগযোগ দীর্ঘ ২ ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুপুরের দিকে। পরে ২টার দিকে আবার সড়ক যোগাযোগ সচল হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহা অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে বেলা ৩টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।