ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বাণিজ্য: কালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিকাশ নাম্বারে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রাণীশংকৈলে বিএনপি ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বকশীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাবেক নৌ সদস্যের মৃত্যু বকশীগঞ্জ নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ জহুরুল হোসেন শ্যামনগরে জেলা প্রশাসকের নানাবিধ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পুলিশের মাসিক পরিদর্শন সোনাগাজীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা বেপরোয়া চেয়ারম্যান পরিবহন, আতঙ্কে দুমকীবাসী তৌফিকুর রহমানের প্রতিবেদন “সাদাকে সাদা কালোকে–“

গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না প্রগতি এনজিও পরিচালক প্রাণনাথ দাসের

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রাইম রিপোর্টার সাতক্ষীরা।
বাড়তি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি হাতিয়ে নিয়েও শেষ রক্ষা পেলেন না প্রগতি এনজিও পরিচালক প্রণনাথ দাস। পালিয়ে গিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর দেশে ফিরেই আজ শনিবার সকালে তার নিজ বাড়ি শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আবারো গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদিকে, বিক্ষুদ্ধ আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় থানার সামনে ভিড় করছেন।

জানা যায়, অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সাতক্ষীরা ও তার আশেপাশের জেলার সহজ সরল নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাজার হাজার মানুষের ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় শহরের কামালনগর এলাকার প্রগতি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালক প্রানাথ দাস। শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি। সেখানে তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে এসে গ্রাহকদের আমানতের টাকা ও লভ্যাংশ ফেরত দিতে প্রাণনাথ গড়িমোশি শুরু করেন এবং তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কোন উপায় না পেয়ে আমানত কারীদের কেউ কেউ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি। একপর্যায়ে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর শত শত গ্রাহক প্রগতি কার্যালয়ে এসে দেখেন অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে অফিসটি। তার বাড়িতেও তালা মারা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গ্রহকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ নেমে আসে। গ্রহকরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবীতে বিক্ষোভও করেন। এরই মধ্যে চলতি বছরের ১৯ মার্চ ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা এলাকা থেকে সে দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর সেখানে কয়েকমাস কারাভোগের পর দেশে ফিরে আজ সকালে সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার কিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না প্রগতি এনজিও পরিচালক প্রাণনাথ দাসের

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

ক্রাইম রিপোর্টার সাতক্ষীরা।
বাড়তি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি হাতিয়ে নিয়েও শেষ রক্ষা পেলেন না প্রগতি এনজিও পরিচালক প্রণনাথ দাস। পালিয়ে গিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর দেশে ফিরেই আজ শনিবার সকালে তার নিজ বাড়ি শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আবারো গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদিকে, বিক্ষুদ্ধ আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় থানার সামনে ভিড় করছেন।

জানা যায়, অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সাতক্ষীরা ও তার আশেপাশের জেলার সহজ সরল নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাজার হাজার মানুষের ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় শহরের কামালনগর এলাকার প্রগতি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালক প্রানাথ দাস। শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি। সেখানে তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে এসে গ্রাহকদের আমানতের টাকা ও লভ্যাংশ ফেরত দিতে প্রাণনাথ গড়িমোশি শুরু করেন এবং তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কোন উপায় না পেয়ে আমানত কারীদের কেউ কেউ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি। একপর্যায়ে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর শত শত গ্রাহক প্রগতি কার্যালয়ে এসে দেখেন অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে অফিসটি। তার বাড়িতেও তালা মারা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গ্রহকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ নেমে আসে। গ্রহকরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবীতে বিক্ষোভও করেন। এরই মধ্যে চলতি বছরের ১৯ মার্চ ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা এলাকা থেকে সে দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর সেখানে কয়েকমাস কারাভোগের পর দেশে ফিরে আজ সকালে সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার কিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।