ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদক বিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার-০১ জন

গাইবান্ধায় ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

নিউজের দুই মাস পর তরুণ সাংবাদিক সুমন মিয়া সহ তিন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩ টার দিকে শহরের ডিবি রোড আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে গাইবান্ধার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানির যমুনা নদীতে একদল সংঘবদ্ধ চক্র নদী থেকে বালু তুলে অবাধে বিক্রি করে আসছে । এতে করে ওই এলাকার ফসলি জমি, বাঁধ ঘেঁষে ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস,বাড়ি ঘর,রাস্তা, মসজিদ,মাদ্রাসা,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে।

 এই সংঘবদ্ধ চক্রটির বিরুদ্ধে গত (১৭ ফেব্রুয়ারী) স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। সেই সাথে অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সেই সংবাদের সূত্র ধরে কামারজানি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই চক্রের রানা ও সাইফুলসহ ১২ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ছাড়াও অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা হয় কয়েক দফায় তাতে জরিমানা গুনতে হয় প্রায় ১৬ লাখ টাকা, 

 এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সংঘবদ্ধ চক্রটির সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের মার্চ মাসের ২৮ তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

কিন্তু নিউজ প্রচারের দুই মাস পর চলতি মাসের (২৪ এপ্রিল)গাইবান্ধা সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা রেকর্ডভুক্ত করেন। 

সত্য ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করলে মামলা করে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হবে, তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধনের বক্তারা।

মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি, ক্রাইম রিপোর্টার এসময়ের সাহসী সাংবাদিক মিলন খন্দকার , দৈনিক নাগরিক ভাবনার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম রকি ,

ও এসময়ের সাহসী তরুণ সাংবাদিক দ্যা ডেইলি ট্রাইবুন্যালের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জেলা প্রতিনিধি সুমন মিয়া,

অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, ‘সাংবাদিকদের নামে মামলা হলে যাচাই-বাছায়ের আগে গ্রেপ্তার করা হবে না।’ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের অভিযোগ যাচাই বাছাই না করেই মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হচ্ছে। এ আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ আইন বলবৎ থাকতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

গাইবান্ধায় ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

নিউজের দুই মাস পর তরুণ সাংবাদিক সুমন মিয়া সহ তিন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩ টার দিকে শহরের ডিবি রোড আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে গাইবান্ধার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানির যমুনা নদীতে একদল সংঘবদ্ধ চক্র নদী থেকে বালু তুলে অবাধে বিক্রি করে আসছে । এতে করে ওই এলাকার ফসলি জমি, বাঁধ ঘেঁষে ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস,বাড়ি ঘর,রাস্তা, মসজিদ,মাদ্রাসা,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে।

 এই সংঘবদ্ধ চক্রটির বিরুদ্ধে গত (১৭ ফেব্রুয়ারী) স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। সেই সাথে অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সেই সংবাদের সূত্র ধরে কামারজানি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই চক্রের রানা ও সাইফুলসহ ১২ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ছাড়াও অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা হয় কয়েক দফায় তাতে জরিমানা গুনতে হয় প্রায় ১৬ লাখ টাকা, 

 এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সংঘবদ্ধ চক্রটির সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের মার্চ মাসের ২৮ তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

কিন্তু নিউজ প্রচারের দুই মাস পর চলতি মাসের (২৪ এপ্রিল)গাইবান্ধা সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা রেকর্ডভুক্ত করেন। 

সত্য ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করলে মামলা করে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হবে, তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধনের বক্তারা।

মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি, ক্রাইম রিপোর্টার এসময়ের সাহসী সাংবাদিক মিলন খন্দকার , দৈনিক নাগরিক ভাবনার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম রকি ,

ও এসময়ের সাহসী তরুণ সাংবাদিক দ্যা ডেইলি ট্রাইবুন্যালের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জেলা প্রতিনিধি সুমন মিয়া,

অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, ‘সাংবাদিকদের নামে মামলা হলে যাচাই-বাছায়ের আগে গ্রেপ্তার করা হবে না।’ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের অভিযোগ যাচাই বাছাই না করেই মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হচ্ছে। এ আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ আইন বলবৎ থাকতে পারে না।