গাইবান্ধায় চৈত্রের খরতাপে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছে দফায় দফায় লোডশেডিং

- আপডেট সময় : ১০:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১১১ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধায় চৈত্রের খরতাপে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই শুরু হয়েছে দফায় দফায় লোডশেডিং। দুপুর, সন্ধ্যা, গভীর রাত কিংবা ভোর কোনো নিয়মই মানছে না বিদ্যুতের লুকোচুরি। প্রচন্ড গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে সেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিল্প-কলকারখানার উৎপাদন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মশার উৎপাত। সব মিলিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে গাইবান্ধার মানুষ।
রোজার মধ্যে গরমের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অতিরিক্ত গরমের কারনে প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। অবশ্য রাতে ঘরে ফিরেও স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে রাতেও ঘেমে ভিজে নাকাল হচ্ছে মানুষ।
প্রচন্ড গরমে ফ্যান চালিয়েও ঘরে থাকা যায় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে মনে হয় ‘ভয়ঙ্কর আজাব’ শুরু হলো। মশার যন্ত্রণায় বাইরে বসে থাকারও উপায় নেই।
গাইবান্ধা শহরের এক বাসিন্দা বলেন, গরমের সাথে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এই গরমে বাইরে যেমন বের হওয়া যাচ্ছে না, তেমনই ঘরেও অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা রাসেল বলেন, একদিকে সিয়াম সাধনার মাস অন্যদিকে তীব্র তাপদাহ। কর্মব্যস্ততা শেষ করে যে বাসায় ফিরে কোথায় স্বস্তিতে থাকব, সেখানে দিনে ও মধ্যরাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। এই গরমে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমে পানি স্বল্পতাসহ হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপদাহে শিশু, বৃদ্ধ ও রোজাদারদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়াই ভালো।
লোডশেডিং এর কারণ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব থাকা সংস্থা জানায়, তারা চাহিদামত গ্রীড স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা ব্যাহত হচ্ছে