ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও ২০১৮ এর পরিপত্র বহালের দাবিতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে উক্ত অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধান ফটকের সামনে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কের যানবহন চলাচল। তবে দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মোতায়েন ছিল পুলিশ সদস্যরা।পুলিশ সদস্য ছাড়াও ডিবি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উক্ত সমাবেশ স্থলে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত  ছাত্রসমাবেশে “সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই” “দাবি মোদের একটাই, কোটার সংস্কার চাই” “কোটা না মেধা? মেধা মেধা ” ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানের মাধম্যে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায় হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসময় চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্য মূলক কোটা বাতিল করতে হবে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটার শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে আগামী রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১১ টার সময় অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনটি কাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে এবং উক্ত আন্দোলনে কেউ বাঁধা দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনটি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আর উক্ত শান্তিপূ্র্ণ আন্দোলনে আমরা কারো দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়নি।

উল্লেখ্য,২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কোটা সংস্কার আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও ২০১৮ এর পরিপত্র বহালের দাবিতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে উক্ত অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধান ফটকের সামনে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কের যানবহন চলাচল। তবে দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মোতায়েন ছিল পুলিশ সদস্যরা।পুলিশ সদস্য ছাড়াও ডিবি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উক্ত সমাবেশ স্থলে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত  ছাত্রসমাবেশে “সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই” “দাবি মোদের একটাই, কোটার সংস্কার চাই” “কোটা না মেধা? মেধা মেধা ” ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানের মাধম্যে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায় হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসময় চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্য মূলক কোটা বাতিল করতে হবে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটার শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে আগামী রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১১ টার সময় অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনটি কাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে এবং উক্ত আন্দোলনে কেউ বাঁধা দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনটি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আর উক্ত শান্তিপূ্র্ণ আন্দোলনে আমরা কারো দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়নি।

উল্লেখ্য,২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷