কেরু কোম্পানীতে ১০৪ জনের স্থায়ীকরণ নিয়ে নানা বিতর্ক

- আপডেট সময় : ১০:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
দেশের ভারী ও সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানীতে স্থায়ীকরণের জন্য ১০৪ পদে জনবল নেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জন্ম দিয়েছে নানা বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে জনবল স্থায়ীকরণের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার একটি নির্দেশনা জারি করলেও কেরু অ্যান্ড কোম্পানী কর্তৃপক্ষ সে নির্দেশনা না মেনে স্ব স্ব পদে জনবল স্থায়ী করণের জন্য চিঠি ইস্যু করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঘুষ বাণিজ্যের কারণে কেরু অ্যান্ড কোম্পানী তড়িঘড়ি করে এসব পদে স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
এদিকে, স্থায়ীকরণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না মানায় কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে কারখানার মৌসুমি ফিল্টার হেল্পার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাবুল আকতার। এ ঘটনায় চিনি করপোরেশনের সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় মিটিংয়ে বসেছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
কেরুর শ্রমিক ও কর্মচারি এবং অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেরুতে মৌসুমি থেকে স্থায়ীকরণের জন্য ১০৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি কেরুর নিজস্ব নোটিশ বোর্ডে টাঙানো হয়। বিজ্ঞপ্তি সংবাদপত্রে প্রকাশের বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জনপ্রতি ২-৩শ টাকা করে ব্যাংক ড্রাফটের কথাও উল্লেখ করা হয়। সে মোতাবেক বাছাই করে স্ব স্ব নামে নামে ১৩-১৪ মে পরীক্ষা ও সাক্ষাতকার নেয়া হবে মর্মে চিঠি ইস্যু করা হয়। দু দিন পরীক্ষা নেওয়ার পর ১৫ মে দুপুরের দিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে কেরুসহ সব চিনিকলে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। ১৫ মে এ নির্দেশ দেওয়ার পর সব চিনিকল জনবল নেয়া বন্ধ রাখলেও ১৫ মে তারিখে কেরুর এমডি স্বাক্ষরিত চিঠি কেরুর শ্রমিক ও কর্মচারিদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মম মোশারফ হোসেন জানান, ১৩ ও ১৪ মে পরীক্ষা শেষ করেছি। ১৫ মে অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার সময় (দুপুরের পর) হেড অফিসের একটি আদেশ পায়।এ দিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যে শিল্প করপোরেশন চেয়ারম্যান জনাব শেখ সোয়েবুল আলম (গ্রেড-১) জানান, শুধু কেরু নয় ১৫মে সবকটি চিনিকলের জনবল স্থায়ীকরণের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। তারপরও কিভাবে জনবল নিয়োগ দেয়া হলো তা আমার জানা নেই।