কৃষক ভাইয়েরা এক হও,এই স্লোগানে কৃষক উদ্যোক্তা নিজেদের উদ্যোগে সরাসরি ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁচামাল পড়াচ্ছেন

- আপডেট সময় : ০৭:২৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আবু জাফর,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কৃষক ভাইয়েরা এক হও সিন্ডিকেট পার্টি হটাও, পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার জন্য, কৃষক ভাইয়েরা এক হও, কৃষকদের উদ্যোক্তা সরাসরি মালামাল পাঠিয়ে নায্য মূল্য বুঝে নিন, এই স্লোগানে কৃষক উদ্যোক্তা নিজেদের উদ্যোগে সরাসরি ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁচামাল পড়াচ্ছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ঢালিপাড়া গোল চত্বর এলাকা থেকে সকল কৃষক উদ্যোক্তা এক হয়ে সিন্ডিকেট পার্টি হটাও, এই স্লোগানে কৃষক উদ্যোক্তারা নিজেরাই ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁচামাল পড়াচ্ছেন। এতে ভালো মুনাফা পাচ্ছে কৃষক উদ্যোক্তারা এমন টায় জানিয়েছেন কৃষক উদ্যোক্তা মো:বাপ্পা, মো: শহিদুল ইসলাম, আরও বলেন আমরা আগের তুলনায় এখন বেশি দামে সবজি বিক্রি করছি।
আমরা চাই কিছু অসাধু ব্যবসাহীদের কারণে কাঁচা বাজারে সিন্ডিকেট চলছে, এই সিন্ডিকেটকে অচিরেই নির্মূল করতে হবে। তা না হলে চাষি ও কৃষক উদ্যোক্তারা ভালো সবজির ভালো দাম পাচ্ছে না। আমরা চাই সারা বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটকে ব্যবসায়ীদেরকে নির্মূল করা হোক,
কৃষক উদ্যোক্তারা বলছেন, উৎপাদনস্থলে কম দামে কাঁচামাল বিক্রি হচ্ছে এই সিন্ডিকেট এর কারণে।
অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৫০ টাকার আশপাশে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকার কাছাকাছি। গতকাল বিভিন্ন সবজি পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। আর লাউ, করলা ও বরবটি কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। বাজারে প্রায় এক মাস যাবৎ কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ৩৫০ টাকার ওপরে। তবে গতকাল বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায়।
সবজির বিভিন্ন উৎপাদনস্থল থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকার বাজারে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার চাঁদা দিতে হতো। এসব চাঁদা নিতেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য ও সরকারদলীয় নেতা–কর্মীরা। পণ্যবাহী ট্রাকপ্রতি অন্তত ৫০০/১০০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হতো কিন্তু এখন আর চাঁদা দিতে হয়না। তবে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে, কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না সিন্ডিকেট ব্যবসা।