ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজাপুরে জমি দখল করতে গিয়ে গাছ কেটে তিন লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ তানোরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হরিপুরে স্বপ্নসারথী গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২৫ সর্বস্তরের জনগণ প্রথম আলো ও ইনকিলাব পত্রিকায় সাতক্ষীরার উন্নয়নের বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার

কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সোনাতলায় প্রস্তুত খামারী

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ার সোনাতলায় খামারিদের প্রস্তুতি একেবারেই সম্পূর্ণ। তবে এবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কোনো প্রকার ক্ষতিকর ইনজেকশন বা ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করণে উদ্বুদ্ধ করেছিল খামারী তথা কৃষকদের। উল্লেখযোগ্য জাতের গরুগুলো দেশী, শাহিওয়াল, হলস্টেইন ও ফ্রিজিয়ান। তবে গরুর পাশাপাশি ছাগল, ভেড়া ও মহিষ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করবে খামারী। গরু-ছাগল ও ভেড়া, মহিষ মিলে কোরবানির ঈদে পশুর লক্ষ্যমাত্রা ৫৬৭৯৬। এবার কুরবানী উপযুক্ত প্রাণী গরু ১৫ হাজার ৫ শত ৬টি, ছাগল ৩৮হাজার ৪শত ৫০টি, মহিষ ১শত ৫২টি, ভেড়া ২হাজার ৬শত ৮৮টি। এ উপজেলায় খামারী রয়েছে ৩হাজার ৮শত ৯১টি। ফলে উপজেলার ৭/৮স্থানে বিক্রি হবে কুরবানীর এসব প্রাণী। তবে গত বছরের চেয়েও এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে ১৮শত ৯৯টি প্রাণী।
এদিকে সম্প্রতি ঘন ঘন বৃষ্টিতে ধানের খড় ভিজিয়ে যাওয়ায় গো খাদ্যের বেশ সংকটে পড়তে হচ্ছে কৃষকের।পাশাপাশি খাস থেকে শুরু করে অনান্য ধরণের গো-খাদ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীর জন্য চলছে লাভ লোকসানের হিসাব নিকাশ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গ্রামে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুরবানীর পশুটিকে পরিচর্যা সহ রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে সামনে কুরবানীর হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে।
কয়েকজন খামারী সহ কৃষক জানান, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর খুব একটা সহযোগিতা করে নাই। ফলে খরচের তুলনায় কুরবানীর হাটে গরু বিক্রিতে লাভ নিয়েও চিন্তিত খামারিরা।
তবে অফিস জানিয়েছেন খামারি সহ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেক খামারীই এবার বাণিজ্যিক ভাবে গরু ও পারিবারিক ভাবে কৃষকও গরু পালন করে সাফল্য অর্জন করেছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান লাকী বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে খামারিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যে সকল খামারিরা বলছেন আমরা তাদের সহযোগিতা বা পরমার্শ দেইনি তারা হয়তো আমাদের এখানে আসেই নি। তাই সকলকে এখানে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সোনাতলায় প্রস্তুত খামারী

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ার সোনাতলায় খামারিদের প্রস্তুতি একেবারেই সম্পূর্ণ। তবে এবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস কোনো প্রকার ক্ষতিকর ইনজেকশন বা ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করণে উদ্বুদ্ধ করেছিল খামারী তথা কৃষকদের। উল্লেখযোগ্য জাতের গরুগুলো দেশী, শাহিওয়াল, হলস্টেইন ও ফ্রিজিয়ান। তবে গরুর পাশাপাশি ছাগল, ভেড়া ও মহিষ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করবে খামারী। গরু-ছাগল ও ভেড়া, মহিষ মিলে কোরবানির ঈদে পশুর লক্ষ্যমাত্রা ৫৬৭৯৬। এবার কুরবানী উপযুক্ত প্রাণী গরু ১৫ হাজার ৫ শত ৬টি, ছাগল ৩৮হাজার ৪শত ৫০টি, মহিষ ১শত ৫২টি, ভেড়া ২হাজার ৬শত ৮৮টি। এ উপজেলায় খামারী রয়েছে ৩হাজার ৮শত ৯১টি। ফলে উপজেলার ৭/৮স্থানে বিক্রি হবে কুরবানীর এসব প্রাণী। তবে গত বছরের চেয়েও এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে ১৮শত ৯৯টি প্রাণী।
এদিকে সম্প্রতি ঘন ঘন বৃষ্টিতে ধানের খড় ভিজিয়ে যাওয়ায় গো খাদ্যের বেশ সংকটে পড়তে হচ্ছে কৃষকের।পাশাপাশি খাস থেকে শুরু করে অনান্য ধরণের গো-খাদ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীর জন্য চলছে লাভ লোকসানের হিসাব নিকাশ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গ্রামে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুরবানীর পশুটিকে পরিচর্যা সহ রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে সামনে কুরবানীর হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে।
কয়েকজন খামারী সহ কৃষক জানান, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর খুব একটা সহযোগিতা করে নাই। ফলে খরচের তুলনায় কুরবানীর হাটে গরু বিক্রিতে লাভ নিয়েও চিন্তিত খামারিরা।
তবে অফিস জানিয়েছেন খামারি সহ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেক খামারীই এবার বাণিজ্যিক ভাবে গরু ও পারিবারিক ভাবে কৃষকও গরু পালন করে সাফল্য অর্জন করেছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান লাকী বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে খামারিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যে সকল খামারিরা বলছেন আমরা তাদের সহযোগিতা বা পরমার্শ দেইনি তারা হয়তো আমাদের এখানে আসেই নি। তাই সকলকে এখানে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।