ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় ভাঙ্গা ব্রিজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

কুয়াকাটায় ভাঙ্গা ব্রিজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মম্বিপাড়া ও পৌরগোজা গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়হরপাড়া খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটির (সাধুর ব্রিজ নামে পরিচিতি) রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সমায় মালবাহী ট্রাক পার হতে চাইলে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভেঙে খালের ভেতর পড়ে গেছে।আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভাঙ্গা ব্রিজটি পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়দের দাবির মুখে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন,কুয়াকাটা থেকে মিস্ত্রিপাড়া বৌদ্ধমন্দিরগামী জনগুরুত্বপূর্ণ মম্ভিপাড়া সাধুর ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের যাতায়াতের স্বার্থে এবং আশেপাশে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজের স্থানে একটি নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো এই ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ একদিন ব্রিজটি কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়য়ারপাড়া, পৈরঘোজাসহ ৫ থেকে ৭ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কুয়াকাটায় অগত পর্যটকরা মিশ্রিপারা বৌদ্ধ মন্দির দেখতে যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল এটি। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট চওড়া ব্রিজের সম্পূর্ণ অংশ ভেঙে খালে পড়ে আছে।
এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ শফিকুল আলম, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, সাংবাদিক হোসাই আমির দৈনিক ভোরের বাংলা নিউজ সাংবাদিক সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কুয়াকাটায় ভাঙ্গা ব্রিজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুয়াকাটায় ভাঙ্গা ব্রিজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মম্বিপাড়া ও পৌরগোজা গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়হরপাড়া খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটির (সাধুর ব্রিজ নামে পরিচিতি) রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সমায় মালবাহী ট্রাক পার হতে চাইলে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভেঙে খালের ভেতর পড়ে গেছে।আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভাঙ্গা ব্রিজটি পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়দের দাবির মুখে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন,কুয়াকাটা থেকে মিস্ত্রিপাড়া বৌদ্ধমন্দিরগামী জনগুরুত্বপূর্ণ মম্ভিপাড়া সাধুর ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের যাতায়াতের স্বার্থে এবং আশেপাশে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজের স্থানে একটি নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো এই ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ একদিন ব্রিজটি কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়য়ারপাড়া, পৈরঘোজাসহ ৫ থেকে ৭ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কুয়াকাটায় অগত পর্যটকরা মিশ্রিপারা বৌদ্ধ মন্দির দেখতে যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল এটি। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট চওড়া ব্রিজের সম্পূর্ণ অংশ ভেঙে খালে পড়ে আছে।
এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ শফিকুল আলম, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, সাংবাদিক হোসাই আমির দৈনিক ভোরের বাংলা নিউজ সাংবাদিক সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।