ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুমিল্লার মুরাদনগরের শিশু আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ১১০ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার মুরাদনগরের শিশু আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গাংগাটিয়া গ্রামের এক ওমান প্রবাসীর পাঁচ বছরের বয়সী শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক মোছাঃ মরিয়ম-মুন-মুঞ্জুরী এ রায় দেন।

 

মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বোড়ারচর গ্রামের মো. বাতেন বেপারির ছেলে মো. ময়নাল হোসেন, একই গ্রামের আবু মুসার ছেলে মো. নাজমুল হাছান ও মোঃ ছালামত খানের ছেলে মোঃ শাহীন খান ওরফে শাহীন মিয়া। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রবিউল হাসান একই গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের পুত্র।

রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগোড়ায় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ১২টার পরে যেকোন সময় বসত ঘর হতে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার গাংগাটিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী মো. ফারুক মিয়ার পাঁচ বছর বয়সী পুত্র সন্তান আব্দুর রহমানকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা ওই শিশুর পিতার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে শিশুটির পিতা অপহরণকারীদের ৩৬ হাজার টাকা দেয়। ওই টাকা দেওয়ার পরও শিশুটিকে ফেরত না পেয়ে এই ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর আসামিদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় শিশু আব্দুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি এডভোকেট মো. মোবারক হোসেন বলেন, আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তি তর্ক শেষে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।

 

নিহত শিশু আব্দুর রহমানের মা শাহিনুর বেগম মামলার রায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ছেলেকে আর ফিরে পাবো না কিন্তু আদালতের এ রায়ে আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আদালতের এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুমিল্লার মুরাদনগরের শিশু আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

আপডেট সময় : ০১:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

কুমিল্লার মুরাদনগরের শিশু আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গাংগাটিয়া গ্রামের এক ওমান প্রবাসীর পাঁচ বছরের বয়সী শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক মোছাঃ মরিয়ম-মুন-মুঞ্জুরী এ রায় দেন।

 

মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বোড়ারচর গ্রামের মো. বাতেন বেপারির ছেলে মো. ময়নাল হোসেন, একই গ্রামের আবু মুসার ছেলে মো. নাজমুল হাছান ও মোঃ ছালামত খানের ছেলে মোঃ শাহীন খান ওরফে শাহীন মিয়া। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রবিউল হাসান একই গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের পুত্র।

রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগোড়ায় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ১২টার পরে যেকোন সময় বসত ঘর হতে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার গাংগাটিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী মো. ফারুক মিয়ার পাঁচ বছর বয়সী পুত্র সন্তান আব্দুর রহমানকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা ওই শিশুর পিতার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে শিশুটির পিতা অপহরণকারীদের ৩৬ হাজার টাকা দেয়। ওই টাকা দেওয়ার পরও শিশুটিকে ফেরত না পেয়ে এই ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর আসামিদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় শিশু আব্দুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি এডভোকেট মো. মোবারক হোসেন বলেন, আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তি তর্ক শেষে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।

 

নিহত শিশু আব্দুর রহমানের মা শাহিনুর বেগম মামলার রায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ছেলেকে আর ফিরে পাবো না কিন্তু আদালতের এ রায়ে আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আদালতের এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।