কুপ্রস্তাব কুরুচিপূর্ণ আচরণ প্রশাসন জুলুমের শিকার নারী সাংবাদিক হাজতে: ন্যায়ের বদলে নিপীড়ন

- আপডেট সময় : ০২:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:কুমিল্লা কোর্টের পেশকার কর্তৃক এক নারীর সাংবাদিককে কুরুচিপূর্ণ আচরণে প্রশাসন জুলুমের শিকারে নারী সাংবাদিক হাজতে। ন্যায়ের বদলে ব্যক্তিগত পারিবারিক মান সম্মানহানি প্রশাসনিক নিপীড়ন! যা সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আলোচিত সমালোচিত হয়েছে সাংবাদিক মহল জনমনে।
একজন নারী সাংবাদিককে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন আচরণের শিকার হতে হয়েছে। আর এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়েই উল্টো তাকেই পেতে হয়েছে জেল হাজতের মুখোমুখি। বিষয়টি কেবল দুঃখজনকই নয়, এটি আমাদের প্রশাসনিক কাঠামো ও সামাজিক মূল্যবোধের উপর এক গভীর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
সূত্র অনুযায়ী, কুমিল্লা আদালতের একজন পেশকার কর্তৃক নারী সাংবাদিকের প্রতি হীন ও অশোভন আচরণের একটি ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও অভিযোগের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে। বরং সেই নারী সাংবাদিককেই করা হয়েছে মামলার আসামি এবং পাঠানো হয়েছে হাজতে।
এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, প্রতিবাদ করছেন এবং ঐ সাংবাদিকের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বিষয়টি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান এবং ন্যায়ের দাবিতে আমরা এখনও কতটা পিছিয়ে।
নারী নির্যাতন বা হয়রানির ঘটনায় যিনি প্রতিবাদ করেন, তারই যদি শেষ ঠিকানা হয় কারাগার, তাহলে এ সমাজে ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে আমাদেরই।
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কেবল প্রতিবাদ নয়, অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই হতে পারে ভবিষ্যতের নিরাপদ পথ। নারী সাংবাদিক কিংবা যেকোনো নারীর প্রতি অশালীন আচরণ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই অবিলম্বে তদন্ত হোক, অপরাধী শাস্তি পাক এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুক্তি ও ন্যায়বিচার লাভ করুক।
এখন সময় নিরবতা ভাঙার। আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা একসাথে আওয়াজ তুলি। হোক জাগ্রত তীব্র নিন্দা প্রতিবাদে দেশজুড়ে সাংবাদিক সুরক্ষায় প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলন।