ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গড়ে তুলুন:আজমল চৌধুরী জাবেদ সোনাগাজীতে ডা. ফখরুদ্দিন মানিকের পক্ষ থেকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প রাজাপুরে মোবাইল ফোনে কথা বলায় মাদ্রাসা ছাত্র রক্তাক্ত ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দৈনিক কালবেলা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাতক্ষীরার লাবসায় মা কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর উপর হামলা চুয়াডাঙ্গা দুর্ঘটনায় মৃত্যু শয্যায় রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড চুয়াডাঙ্গায় একতা মুরগি ফার্মে শিয়ালের তাণ্ডব মারা গেল ৫৫০ মুরগি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাকৃবি ছাত্রদলের সুপেয় পানির ফিল্টার স্থাপনের দাবি

কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর উপর হামলা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় দলবদ্ধ ভাবে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হন বড়ঘোপ রোমাই পাড়ার আবদুল কাদেরের স্ত্রী আনিছা বেগম (৪২), তার মেয়ে তোহা (২০) এবং ননদ ইয়াসমিন আকতার (৩৫)।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বড়ঘোপ ইউনিয়নের মিয়ার পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের নেতৃত্বে ৫ /৬ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।

আহতদের মধ্যে আনিছা বেগম বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক রাস্তায় টিউবওয়েলের পানি নিয়ে বিরোধের জেরে আমাকে মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি হলে রুমাই পাড়ার মৃত শুক্কুর কোম্পানির ছেলে রাকিব একবার হামলা করে। আধাঘন্টা পরে  আবদুল আজিজের নেতৃত্বে আবারও আক্রমণ হয়।”

আহতদের স্বজনরা এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীন উদ্দীন ছোটন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমাদের সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এদিকে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরমান হোসেইন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই হামলার ঘটনাটি কুতুবদিয়া এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে এ ধরনের সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করাও জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর উপর হামলা

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় দলবদ্ধ ভাবে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হন বড়ঘোপ রোমাই পাড়ার আবদুল কাদেরের স্ত্রী আনিছা বেগম (৪২), তার মেয়ে তোহা (২০) এবং ননদ ইয়াসমিন আকতার (৩৫)।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বড়ঘোপ ইউনিয়নের মিয়ার পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের নেতৃত্বে ৫ /৬ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।

আহতদের মধ্যে আনিছা বেগম বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক রাস্তায় টিউবওয়েলের পানি নিয়ে বিরোধের জেরে আমাকে মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি হলে রুমাই পাড়ার মৃত শুক্কুর কোম্পানির ছেলে রাকিব একবার হামলা করে। আধাঘন্টা পরে  আবদুল আজিজের নেতৃত্বে আবারও আক্রমণ হয়।”

আহতদের স্বজনরা এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীন উদ্দীন ছোটন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমাদের সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এদিকে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরমান হোসেইন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই হামলার ঘটনাটি কুতুবদিয়া এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে এ ধরনের সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এছাড়া সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করাও জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা।