কালীগঞ্জের ভাড়াশিমলায় বাবাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সন্তানের বিরুদ্ধে

- আপডেট সময় : ০৯:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ১০২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মহাসিন,খুলনা বিভাগীয়,প্রতিনিধি:-সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন ভাড়াশিমলা যে ইউনিয়নের শুইলপুর গ্রামের মোঃ মাজেদ আলী মোড়লের একমাত্র ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম এ ঘটনা ঘটায়।সোমবার (১৭ মার্চ) বিকালে ইফতারের আগমুহূর্তে পিতা-পুত্রের মধ্যে সাংসারিক দ্বন্দ্ব ও জমির বিষয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মোঃ মনিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পিতা মাজেদ মোড়লকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের বাসিন্দা কেরামত আলী বলেন, “হঠাৎ মাজেদ মোড়লের চিৎকার শুনে আমি দৌঁড়ে আসি, দেখতে পায় তার ছেলে মনিরুল ও ছেলে বৌ পিতাকে হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছে। আমি সহ কয়েকজন তাদের হস্তাহস্তি নিয়ন্ত্রণে এনে অন্য আত্মীয়স্বজনদের খবর দেই।একই গ্রামের রজব আলী বলেন, মজেদ ও ছেলে মনিরুলের মধ্যে এর আগে কয়েকবার ঝামেলা হয়েছে। গ্রামের সবাই বিচার করে মিলও করে দিয়েছে। তবে এইদিন মনিরুল তার বাবাকে হাত-পা বেঁধে অনেক মারপিট করেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগও দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী মাজেদের জামাই আবু বক্কার বলেন, আমার শ্বশুরের উপর অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে, যেটি বর্ণনা করা সম্ভব নয়। প্রসাশনের কাছে এর সুস্থ বিচার চাই। আমার শ্বশুর এখন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতালে ভর্তিরত ভুক্তভোগী মোঃ মাজেদ মোড়লের কাছে এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ছেলে মনিরুল আমার সাথে এমন আচারণ করেন দীর্ঘদিন। আমাকে খেতেও দেননা। ১ বিঘা জমি কিনেছিলাম সেটিও ছেলে নিজের নামে লিখে নিয়েছে। এখন আবার বলছে বাড়িটাও লিখে দিতে, তবে আমি না দিতে চাইলে আমাকে ওর বৌ আর মনিরুল মিলিত হয়ে প্রথমে হাত-পা বাঁধে ও পরে লাঠি দিয়ে, হাত দিয়ে মারপিট করে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত মোঃ মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার জন্মদাতা পিতাকে কেন মারবো। বাবার মাথায় সমস্যা থাকার কারণে যখন তখন দা, কুড়াল হাতুড়ি নিয়ে আমাকে মারতে আসে। ঐদিন বাবা গালি দিতে দিতে আমাকে হাতুড়ি দিয়ে মারতে আসলে নিরাপত্তার জন্য আমি ও আমার স্ত্রী বাবার হাত-পা বেধে দৌঁড় দেওয়ার চেষ্টা করি, বাবা আমার হাতে কামড়ও দিয়েছে।
পরিবারের অন্য সদস্যরা বলেন, এই বিষয়ে নিয়ে আমরা নিশ্চয় আইনের আওতায় যাবো। এ ঘটনার সুস্থ তদন্ত ও যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে মনিরুলকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানাবো প্রশাসনকে।