কালিয়াকৈরে পুত্রবধূর নির্যাতনে হাসপাতালে শাশুড়ি

- আপডেট সময় : ০১:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
গৃহবধূ নিপীড়নের কথা নতুন নয়।যৌতুক দিতে না পারা,সন্তানহীনতা বা কোন কারন ছাড়াই পুত্রবধূর ওপর অকথ্য অত্যাচারের নানা ঘটনা আমরা শুনেছি, প্রত্যক্ষও করেছি। কিন্তু উল্টো পুত্রবধুর হাতে শাশুড়ি নির্যাতন – এমন কথা শুনেছেন কি ?
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পারিবারিক কলহের জের ধরে শাশুড়ি জোলেখা বেগমকে (৫৫) মারধর করে নির্যাতন করার এমনই অভিযোগ উঠেছে এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে।
ঘটনা ঘটেছে, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে উপজেলার কতুবদিয়া গ্রামে ।
শুক্রবার দুপুরে জোলেখার স্বামী আলিম উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আহত হলো, উপজেলার কতুবদিয়া গ্রামের আলিম উদ্দিনের স্ত্রী জোলেখা বেগম(৫৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে ছেলে রনি মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে পুত্রবধূ বৃষ্টির সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ে পর থেকেই স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া চলে আসছে। এ নিয়ে বছরখানেক আগে স্বামীর স্ত্রীর মাঝে ডিভোর্স হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের আবার স্বামী স্ত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
স্বামীর স্ত্রীদের মাঝে ঝগড়া সৃষ্টি হলে শাশুড়ি বাঁধা দিতে গেলে পুত্রবধূ বৃষ্টি শাশুড়িকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য সালিস হয়। তাতেও পুত্রবধূ ক্ষান্ত্য হয়নি। বিচারের পর থেকেই বৃষ্টি তার স্বামী ও পরিবারের লোকজনের সাথে বেশি খারাপ আচারণ করে আসতো। পরে ছেলের বাবা আলিম উদ্দিন গ্রামের লোকজন ডেকে ছেলে ও তার স্ত্রীকে পৃথক করে দেয়। এরপর থেকে বৃষ্টি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে পুত্রবধূ বৃষ্টি, শাশুড়ির ঘরের ভিতরে ঢুকে মেনফটকে তালা লাগিয়ে ঘরের ভিতর গিয়ে শাশুড়ির চুলের মুঠো ধরে টানা হেচরা করে মাটিতে ফেলে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। এসময় শাশুড়ি চিৎকার করলে তাহার গলায় চাপ দিয়ে ধরে রাখে। পরে শাশুড়ির মুখ থেকে পুত্রবধূ হাত সরিয়ে নিলে তাহার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে বৃষ্টি বেগম ততক্ষণে শাশুড়িকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। বৃষ্টি ওই ঘটনার পর থেকে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই ঘটনায় জোলেখা বেগমের স্বামী আলিম উদ্দিন বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রওশনারা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুত্রবধূ শাশুড়িকে মেরে ফেলে রেখেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করা হয়। তবে বিষয়টি নেক্কারজনক এভাবে শাশুড়িকে মারতে পারে আগে কখনো দেখিনি। এর বিচার হওয়া উচিত।
কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর জানান, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।