ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার অজ্ঞাতনামা ১(এক) পলাতক আসামী গ্রেফতার কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মচারী শূন্য, সেবায় অচলাবস্থা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন আগৈলঝাড়া সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই…মহাসচিব মির্জা ফখরুল.. ইসলাম আলমগীর পবিপ্রবির আইন অনুষদের নবীন বরণ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কওমী-সুন্নীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হঠাৎ নাটকীয় সমাপ্তি চন্দনাইশ থানার বিশেষ অভিযানে ২টি বন্দুক দেশীয় অস্ত্র সহ আসামি আটক পবিপ্রবিতে শৈবাল গবেষণা, খাবার ও প্রসাধনী শিল্পে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত শৃঙ্খলা ও দক্ষতার অঙ্গীকারে বরগুনায় আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী সাতক্ষীরায় কথিত সাংবাদিক আলামিন সরদারের চাঁদাবাজিতে বিপাকে কর্মকর্তা—কর্মচারী ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদরা

এক কোল্ড স্টোরেজেই ১৯ লাখ ডিম মজুত!

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

পল্লব স্বর্ণকার -স্টাফ রিপোর্টার খুলনা।

দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ ভোক্তাদের। এমনটি হওয়ার অন্যতম কারণ পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা। নরসিংদীর মাধবদীতে একটি কোল্ড স্টোরেজেই অবৈধভাবে ১৯ লাখ ডিম মজুত রেখেছেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকার ‘এমএস স্প্যাসিকেল’ নামের একটি কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার নরসিংদীর সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান। ঐ কোল্ড স্টোরেজে এক মাসের উপরে মজুত রাখা ডিম পাওয়া যায় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অভিযানে ঐ কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১৯ লাখ ডিম মজুত পাওয়া যায়। এগুলো নামে বেনামি নানাবিধ রশিদে রাখা হয় বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে বলে জানান সাধারণ ভোক্তারা।

ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, নরসিংদীর মাধবদীসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এমএস স্প্যাসিকেল কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত রাখেন। একটি ডিম এক মাসের জন্য পঞ্চাশ পয়সা ভাড়া দিতে হয়। প্রায় কয়েক বছর ধরে এমএস স্প্যাসিকেল কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত করে রাখা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ঢাকা হেড অফিস থেকে তথ্য দেওয়া হয় নরসিংদীতে ডিম মজুত করে রাখা হচ্ছে। পরে বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীদের মাঝে গোয়েন্দা নজর ধারি বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে আজ গোপন সংবাদের মাধ্যমে মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ডিম ক্রয়ের মেমো ও ডিম মজুত দেখে প্রায় ১৯ লাখ ডিম নির্ণয় করা হয়।

কয় মাস কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ডিম সাধারণত এক মাসের বেশি সময় মজুত করে রাখা যায় না। এতে ডিমে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। অভিযান হওয়া কোল্ড স্টোরেজে এক মাসের উপরে ডিম মজুত রাখা হয়েছে মেমো দেখে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

এক কোল্ড স্টোরেজেই ১৯ লাখ ডিম মজুত!

আপডেট সময় : ০১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

পল্লব স্বর্ণকার -স্টাফ রিপোর্টার খুলনা।

দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ ভোক্তাদের। এমনটি হওয়ার অন্যতম কারণ পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা। নরসিংদীর মাধবদীতে একটি কোল্ড স্টোরেজেই অবৈধভাবে ১৯ লাখ ডিম মজুত রেখেছেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকার ‘এমএস স্প্যাসিকেল’ নামের একটি কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার নরসিংদীর সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান। ঐ কোল্ড স্টোরেজে এক মাসের উপরে মজুত রাখা ডিম পাওয়া যায় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অভিযানে ঐ কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১৯ লাখ ডিম মজুত পাওয়া যায়। এগুলো নামে বেনামি নানাবিধ রশিদে রাখা হয় বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে বলে জানান সাধারণ ভোক্তারা।

ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, নরসিংদীর মাধবদীসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এমএস স্প্যাসিকেল কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত রাখেন। একটি ডিম এক মাসের জন্য পঞ্চাশ পয়সা ভাড়া দিতে হয়। প্রায় কয়েক বছর ধরে এমএস স্প্যাসিকেল কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত করে রাখা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ঢাকা হেড অফিস থেকে তথ্য দেওয়া হয় নরসিংদীতে ডিম মজুত করে রাখা হচ্ছে। পরে বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীদের মাঝে গোয়েন্দা নজর ধারি বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে আজ গোপন সংবাদের মাধ্যমে মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ডিম ক্রয়ের মেমো ও ডিম মজুত দেখে প্রায় ১৯ লাখ ডিম নির্ণয় করা হয়।

কয় মাস কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ডিম সাধারণত এক মাসের বেশি সময় মজুত করে রাখা যায় না। এতে ডিমে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। অভিযান হওয়া কোল্ড স্টোরেজে এক মাসের উপরে ডিম মজুত রাখা হয়েছে মেমো দেখে এমন তথ্য পাওয়া যায়।