একসঙ্গে যৌতুকবিহীন বিয়ে করে ইচ্ছেপূরণ দুই বন্ধুর

- আপডেট সময় : ১২:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৯২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
প্রায় পাঁচ বছর একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের হারুন অর রশিদ ও মুরাদ আলম। এবার বিয়ের পিড়িতেও বসলেন একসঙ্গে, তাও আবার যৌতুকবিহীন। যৌতুক ছাড়াই ১ লাখ টাকা দেনমোহর নগদ পরিশোধ করে স্ত্রীকে গ্রহণ করেছেন এই দুই বন্ধু।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ ক্রীড়া সংস্থা মাঠে তাদের দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সমাজে যৌতুকবিহীন বিয়ের উৎসাহ দিতে ব্যতিক্রম এই আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্ট (জিআরটি)। বিয়ে পরবর্তী জীবন সুখের করতে বর ও কনেকে আসবাবপত্র, সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে সংস্থাটি।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাদিহাট গ্রামের আ. হামিদের ছেলে হারুন অর রশিদের সঙ্গে একই উপজেলার চন্দন চহট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা. বুশরা আক্তারের এবং ধুলঝারী গ্রামের সেরকেট আলীর ছেলে মুরাদ আলমের সাথে কাদিহাট আমতলা গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে আফসানা আক্তারের বিয়ে হয়।
বর হারুন অর রশিদ ও মুরাদ আলম জানান, দুই বন্ধু একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তারা। একসঙ্গে যৌতুকবিহীন বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল তাদের। সেই আশা পূরণ হয়েছে।
এদিকে দুই বন্ধুর সঙ্গে একইদিনে যৌতুক বিহীন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে খুশি কনে বুশরা ও আফসানা। দাম্পত্য জীবনে সবার দোয়া চেয়েছেন তারা।
আয়োজকরা জানান, চার পরিবারের সম্মতিতে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়। যৌতুকবিহীন বিয়ে করার উৎসাহ হিসেবে বরযাত্রী ও বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। আগামীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, ‘গ্রামে বিয়ের পর যৌতুক লেনদেনকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য জীবনে তিক্ততা তৈরি হয়। পরে অনেক সংসার ভেঙে যায়। সামাজিক এমন অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসতে যৌতুকবিহীন বিয়ের বিকল্প নেই। সংস্থাটির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’