উন্মাদ

- আপডেট সময় : ০৯:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

উন্মাদ
–চৌধুরী মজিবুর রহমান
তুমি আমার পানে ফিরে না চাহিলেও
আমি ফেল ফেল করে থাকিয়ে থাকি অনর্গল
তোমার প্রতি
এবং তোমার আঙ্গিনা অব্দি আমার দৃষ্টি,
আমার তাবুদ পৃথিবীটা উৎসর্গ করে দিয়েছি তোমায়।
সকল শূন্যতা ভরাট করে রাখি শুধু
তোমার আগমনি পথ চেয়ে-
আয়নার আলোতে তোমার স্বচ্ছ মুখের ঝলকানী
দেখতে দেখতে কত প্রহর কেটে যায় কত প্রহর
নিজের অজান্তে।
উদ্ভূত উন্মাদের মতো ফিস ফিস করে বলতে থাকি
এই জানো কি?তুমি যে আমার ভালো লাগার ভালবাসা
লগ্ন কুড়ানো পূর্ণতিথি
শিল্প সমৃদ্ধির বিশাল উৎস
তাই তো স্মৃতির ক্যানভাসে অবাধ ভাসমান।
এই ভূবনডাঙ্গায় আগমনীর পূর্বকাল হতেই
তুমি আমার সর্ব স্বারথি;
তোমার মসৃণ অঙ্গলিদ্বয়ের আঁচড়েই আমি পেয়েছি
সৃষ্টির শ্রেষ্টত্ব।
আমার আহ্বানটুকু শোন বা নাই শোন
তারপরো তোমাকেই করব যত নিবেদন
মিনতি ভরা সুরের মুর্চায়
নিতান্ত নিভৃত্বে বিশেষ নৈবেদ্য আয়োজনে
তোমায় ডাকবো অবিরাম
যতক্ষণ শব্দতরঙ্গ প্রবহমান থাকবে স্পন্দন যন্ত্রে।
তুমি আমার পানে ফিরে না চাহিলেও
আমি নির্বিঘ্ন বিলিন তোমার অতল রূপ সায়রে
উপেক্ষার আগুনে জ্বললেও…তাতে কি?
তথাপি তোমার প্রতীক্ষা করি-
সূর্যোদয় হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত
চৌদ্দভূবন তন্ন তন্ন করি নিমিষে নিমিষে
উজান-ভাটি হাওয়ার তালে;অত:পর
একুশ হাজার ছয়শত ধ্বনির সংমিশ্রণে
কাব্য-খছিদা লিখে তোমায় করি উৎসর্গ
কেননা আমি বড্ড উন্মাদ
তোমার অনিন্দ্য আলিঙ্গন নেশায়।