ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে শ্যামনগর কৈখালীতে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক ফেনীতে স্বামীকে হ’ত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক

ঈদের ছুটিতে কেমন কাটবে বাকৃবির কর্মজীবীদের জীবন

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪ ২২১ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ হাসান, বাকৃবি:

ঈদের বাড়ি যাবার আনন্দ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকলেও ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাদের জীবন ও জীবিকা তাদের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে উপার্জন কমে যাওয়ার শঙ্কা। বলছি রিকশা চালক, মুদি দোকানদার, হোটেল ব্যাবসায়ীদের কথা।

বাকৃবির কে আর মার্কেটে অবস্থিত মুদি দোকান “বিনিময় স্টোরের” দোকানি উমায়ের বিন আজিজ বলেন, শিক্ষার্থীরা সবাই চলে গেলে আমাদের বিক্রি অনেকাংশেই কমে যাবে। আমার দোকান থেকে ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই কেনাকাটা করে। ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকলে শিক্ষার্থীরা সবাই উপস্থিত থাকে এবং তাদের কাছে প্রতিদিন প্রায় গড়ে দশ হাজার টাকার মতো কেনাবেচা হয় যা আমার উপার্জনের বড় একটা অংশ। ঈদের ছুটিতে সে আয় থেকে আমি বঞ্চিত হবো।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যান্টিনের কর্মচারী মো. হোসাইন বলেন, হলে ছাত্ররা সবাই থাকলে দৈনিক ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার বেচাকেনা হয়। রোজার শুরু থেকে হলে ইফতারি আইটেমও বিক্রি করেছি৷ কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে বাড়ি চলে যাওয়ায় আমার বিক্রিও কমে গেছে। ৫ তারিখ থেকে বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

এছাড়াও বাকৃবির শেষ মোড়ে অবস্থিত বিসমিল্লাহ হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজের মালিক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমার হোটেলের ব্যবসা সম্পূর্ণ শিক্ষার্থী নির্ভর। ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন কাস্টমারই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সাধারণ সময়ে দিনে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেচাকেনা হলেও ঈদের ছুটির এই কয়দিন ৫ হাজার টাকা বেচাকেনা করতে পারবো কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বেচাকেনা একেবারেই কমে গেলে হোটেল বন্ধ রাখতে হবে।

বাকৃবির কে আর মার্কেটের জয়নাল ফটোস্ট্যাটের জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার ফটোকপির দোকানের আয়-রোজগার নির্ভরশীল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা চলার উপর। ওই সময়েই শিক্ষার্থীরা লেকচারশীট কিনে। ঈদের ছুটিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না থাকায় আমার ব্যবসা পুরোপুরিভাবে বন্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোরিকশা চালক মোমেন আকন্দের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আপনারাই (শিক্ষার্থীরা) আমার দৈনন্দিন জীবনের উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। আপনারা ঈদের ছুটিতে চলে যাবার পর রিক্সা চালানো বন্ধ রাখতে হবে।
তবে ঈদের সময় বাকৃবিতে প্রচুর পরিমাণে দর্শনার্থী বেড়াতে আসায় তখন কিছু উপার্জনের আশা করছেন বলে জানান এই রিক্সাচালক।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। প্রজ্ঞাপন মোতাবেক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে প্রায় ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিতে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঈদের ছুটিতে কেমন কাটবে বাকৃবির কর্মজীবীদের জীবন

আপডেট সময় : ০৪:০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

জাহিদ হাসান, বাকৃবি:

ঈদের বাড়ি যাবার আনন্দ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকলেও ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাদের জীবন ও জীবিকা তাদের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে উপার্জন কমে যাওয়ার শঙ্কা। বলছি রিকশা চালক, মুদি দোকানদার, হোটেল ব্যাবসায়ীদের কথা।

বাকৃবির কে আর মার্কেটে অবস্থিত মুদি দোকান “বিনিময় স্টোরের” দোকানি উমায়ের বিন আজিজ বলেন, শিক্ষার্থীরা সবাই চলে গেলে আমাদের বিক্রি অনেকাংশেই কমে যাবে। আমার দোকান থেকে ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই কেনাকাটা করে। ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকলে শিক্ষার্থীরা সবাই উপস্থিত থাকে এবং তাদের কাছে প্রতিদিন প্রায় গড়ে দশ হাজার টাকার মতো কেনাবেচা হয় যা আমার উপার্জনের বড় একটা অংশ। ঈদের ছুটিতে সে আয় থেকে আমি বঞ্চিত হবো।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যান্টিনের কর্মচারী মো. হোসাইন বলেন, হলে ছাত্ররা সবাই থাকলে দৈনিক ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার বেচাকেনা হয়। রোজার শুরু থেকে হলে ইফতারি আইটেমও বিক্রি করেছি৷ কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে বাড়ি চলে যাওয়ায় আমার বিক্রিও কমে গেছে। ৫ তারিখ থেকে বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

এছাড়াও বাকৃবির শেষ মোড়ে অবস্থিত বিসমিল্লাহ হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজের মালিক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমার হোটেলের ব্যবসা সম্পূর্ণ শিক্ষার্থী নির্ভর। ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন কাস্টমারই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সাধারণ সময়ে দিনে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেচাকেনা হলেও ঈদের ছুটির এই কয়দিন ৫ হাজার টাকা বেচাকেনা করতে পারবো কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বেচাকেনা একেবারেই কমে গেলে হোটেল বন্ধ রাখতে হবে।

বাকৃবির কে আর মার্কেটের জয়নাল ফটোস্ট্যাটের জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার ফটোকপির দোকানের আয়-রোজগার নির্ভরশীল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা চলার উপর। ওই সময়েই শিক্ষার্থীরা লেকচারশীট কিনে। ঈদের ছুটিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না থাকায় আমার ব্যবসা পুরোপুরিভাবে বন্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোরিকশা চালক মোমেন আকন্দের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আপনারাই (শিক্ষার্থীরা) আমার দৈনন্দিন জীবনের উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। আপনারা ঈদের ছুটিতে চলে যাবার পর রিক্সা চালানো বন্ধ রাখতে হবে।
তবে ঈদের সময় বাকৃবিতে প্রচুর পরিমাণে দর্শনার্থী বেড়াতে আসায় তখন কিছু উপার্জনের আশা করছেন বলে জানান এই রিক্সাচালক।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। প্রজ্ঞাপন মোতাবেক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে প্রায় ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিতে যাচ্ছে।