ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাতুভুঁইয়া ইউনিয়নের মমরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০বছর রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয় রাজাপুরে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী আহাদ শিকদারের পক্ষে গনসংযোগ ফেনীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ৯দিনের ছুটি শেষে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস দেবহাটা বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হেলাল উদ্দিন ও সাদিয়া অনৈতিক অবস্থায় জনগণের হাতে আটক স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব

ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ হতে বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার:সেনাবাহিনী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:-

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অফিস থেকে বিপুল সংখ্যক গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের কাউখালী সেনা ক্যাম্প।
৭ মার্চ (শুক্রবার) পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার কাউখালি ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ(মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের কাউখালী সেনা ক্যাম্প। আজ ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এই আস্তানার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়।

বিশেষ অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফ(মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেনা সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, বাইনোকুলার, ওয়াকি-টকি সেট, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ অন্যান্য নথিপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকাজুড়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

ইউপিডিএফ(মূল) ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অপতৎপরতা বেড়েই চলেছে দিনদিন। এক সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গ্যারিলা আক্রমণের প্রশিক্ষন নিচ্ছে পাহাড়ের কিছু বিপদগামী উপজাতি শিক্ষার্থী।

অপরদিকে বরাবরের মতো ইউপিডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘটনাটিকে ভিন্ন খেতে প্রবাহিত করতে ও সত্য আড়াল করতে তাদের সমর্থক গোষ্ঠীদের মাধ্যমে কাউখালী এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিশেষ করে তারা শিশু ও নারীদের ব্যবহারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত অপপ্রচারও শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, শিশু ও মহিলাদের মাধ্যমে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে সেনাবাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ হতে বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার:সেনাবাহিনী

আপডেট সময় : ০৭:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি:-

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অফিস থেকে বিপুল সংখ্যক গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের কাউখালী সেনা ক্যাম্প।
৭ মার্চ (শুক্রবার) পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার কাউখালি ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ(মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের কাউখালী সেনা ক্যাম্প। আজ ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এই আস্তানার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়।

বিশেষ অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফ(মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেনা সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, বাইনোকুলার, ওয়াকি-টকি সেট, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ অন্যান্য নথিপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকাজুড়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

ইউপিডিএফ(মূল) ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অপতৎপরতা বেড়েই চলেছে দিনদিন। এক সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গ্যারিলা আক্রমণের প্রশিক্ষন নিচ্ছে পাহাড়ের কিছু বিপদগামী উপজাতি শিক্ষার্থী।

অপরদিকে বরাবরের মতো ইউপিডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘটনাটিকে ভিন্ন খেতে প্রবাহিত করতে ও সত্য আড়াল করতে তাদের সমর্থক গোষ্ঠীদের মাধ্যমে কাউখালী এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিশেষ করে তারা শিশু ও নারীদের ব্যবহারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত অপপ্রচারও শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, শিশু ও মহিলাদের মাধ্যমে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে সেনাবাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গেছে।