ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

আয়করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০২৪ পাস হয়েছে। আর রোববার (৩০ জুন) সংসদে পাস হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট।

অর্থবিলে বেশকিছু সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু নতুন প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এর অন্যতম হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আয় পুরোপুরি করমুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাস্টের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর বসবে এবং ব্যক্তিগত একাধিক গাড়ি থাকলেই কেবল এখন থেকে সারচার্জ বসবে।

এ ছাড়াও একজন করদাতা কোনো অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি কর দিলে তার নথি নিরীক্ষায় ফেলা হবে না। আর আগের মতই অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক এলাকায় বিনিয়োগকারীরা বিনাশুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। এবারের বাজেটে এসব যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ৬ জুন বাজেট ঘোষণার পর থেকে মুঠোফোনে বাড়তি কর, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া এবং করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা হয়। অপরদিকে ধনীদের ওপর বাড়তি কর আরোপ এবং সংসদ সদস্যের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল করে কিছু শুল্ক আরোপের উদ্যোগের বিষয়টির প্রশংসা করা হয়।

বাজেট প্রস্তাব করার সময় শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দেশের যেকোনো স্থানে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করলে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, রিটার্ন জমার স্লিপ (প্রমাণপত্র) ছাড়া কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা যাবে না।

তবে শনিবার অর্থবিল পাসের সময় প্রস্তাবটিতে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে এখন রিটার্ন জমার স্লিপ লাগবে। বিয়ে ছাড়াও বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়েহলুদ, খতনাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার কপি লাগে। এই তালিকায় কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া ছাড়া আরও কয়েকটি খাত যুক্ত করা হয়েছে।

যেমন- হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন এবং নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা এনে যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা পাস করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আয়করমুক্ত থাকবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম

আপডেট সময় : ০৭:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০২৪ পাস হয়েছে। আর রোববার (৩০ জুন) সংসদে পাস হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট।

অর্থবিলে বেশকিছু সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু নতুন প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এর অন্যতম হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আয় পুরোপুরি করমুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাস্টের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর বসবে এবং ব্যক্তিগত একাধিক গাড়ি থাকলেই কেবল এখন থেকে সারচার্জ বসবে।

এ ছাড়াও একজন করদাতা কোনো অর্থবছরে আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি কর দিলে তার নথি নিরীক্ষায় ফেলা হবে না। আর আগের মতই অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক এলাকায় বিনিয়োগকারীরা বিনাশুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। এবারের বাজেটে এসব যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ৬ জুন বাজেট ঘোষণার পর থেকে মুঠোফোনে বাড়তি কর, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া এবং করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা হয়। অপরদিকে ধনীদের ওপর বাড়তি কর আরোপ এবং সংসদ সদস্যের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল করে কিছু শুল্ক আরোপের উদ্যোগের বিষয়টির প্রশংসা করা হয়।

বাজেট প্রস্তাব করার সময় শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দেশের যেকোনো স্থানে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করলে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, রিটার্ন জমার স্লিপ (প্রমাণপত্র) ছাড়া কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা যাবে না।

তবে শনিবার অর্থবিল পাসের সময় প্রস্তাবটিতে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে এখন রিটার্ন জমার স্লিপ লাগবে। বিয়ে ছাড়াও বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়েহলুদ, খতনাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার কপি লাগে। এই তালিকায় কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া ছাড়া আরও কয়েকটি খাত যুক্ত করা হয়েছে।

যেমন- হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন এবং নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা এনে যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা পাস করা হয়েছে।