আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ এখন”—আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ফেনীতে সচেতনতার জোয়ার
- আপডেট সময় : ০৯:০৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২৬ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ,স্টাফ রিপোর্টার:
মানবাধিকার সুরক্ষায় ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর CEHRLA; মাঠপর্যায়ের নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা রাখছেন আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ হানিফ—চট্টগ্রাম বিভাগে বিস্তৃত কার্যক্রমের অঙ্গীকার আবুল কাশেমের
ফেনীতে মানবাধিকারের আলো ছড়িয়ে দিতে CEHRLA-এর অদম্য প্রচেষ্টা
আজ ১০ ডিসেম্বর—আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। মানব মর্যাদা, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সমতার প্রতি বিশ্বের সার্বজনীন অঙ্গীকারকে স্মরণে রাখতেই প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য—“আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ এখন”—মানবাধিকারের সুরক্ষা ও প্রয়োগে নতুন করে দৃষ্টি দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানায়।
এই উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা CEHRLA ফেনীতে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেয়। সংগঠনের ফেনী জেলা আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ হানিফ মানবাধিকার সুরক্ষায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
“ফেনীর প্রতিটি ঘরেই মানবাধিকার সেবা পৌঁছে দেবে CEHRLA”ব—পরিচালক হানিফের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি
বক্তব্যে তিনি বলেন,
“ফেনী জেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার কার্যক্রম পৌঁছে দিতে পারলেই আমাদের কাজের সার্থকতা আসবে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা কোনো বিলাসিতা নয়; এটি মানুষের জন্মগত অধিকার।”
তিনি আরও জানান, আগামী বছরে CEHRLA তৃণমূল পর্যায়ে জরুরি আইনি সেবা, নির্যাতিত নারী–শিশুর সুরক্ষা এবং মানবপাচার প্রতিরোধে নতুন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী বাড়ানো হবে।
চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মাহমুদের মানবিক নেতৃত্বের প্রশংসা
পরিচালক হানিফ গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন—
“এই মহান পেশায় আমাকে সম্পৃক্ত করার জন্য এবং মানবসেবার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব মাহমুদুল হাসান মাহমুদ স্যারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁর মানবিক নেতৃত্ব, দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও ত্যাগী ভাবনা আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন আজ বৈশ্বিক উদ্বেগের অন্যতম প্রধান কারণ। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, মানবপাচার, বৈষম্য এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা—এই সবকিছু মোকাবিলায় সম্মিলিত ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি।
“মানবাধিকার রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব”—সমাজের শক্তিকে এক মঞ্চে আনার আহ্বান
তিনি বলেন—
“রাষ্ট্র, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মানবাধিকার সুরক্ষা সম্ভব। কেউ একা পুরো সমাজ পরিবর্তন করতে পারে না; সবাই মিলে এগিয়ে এলে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।”
তিনি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক, আইনজীবী, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ নাগরিকদের একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম বিভাগে কার্যক্রম বিস্তারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি—বিভাগীয় পরিচালক আবুল কাশেম
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক জনাব আবুল কাশেম এক বিবৃতিতে বলেন—
“আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সম্মানিত কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান জনাব মাহমুদুল হাসান মাহমুদ সাহেব আমাকে যেই গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করব। চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় CEHRLA’র কার্যক্রম পৌঁছে দিতে আমি বদ্ধপরিকর।”
তিনি জানান, বিভাগে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জরুরি আইনি সেবা, নারী–শিশু সুরক্ষা সেল এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি নতুন মাত্রায় পরিচালিত হবে।
ফেনীতে কর্মসূচির জোয়ার—তৃণমূল মানুষের জন্য সেবার দরজা উন্মুক্ত
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে CEHRLA ফেনী আঞ্চলিক কার্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
নারী ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্প
আইনি পরামর্শ বুথ
মানবপাচার প্রতিরোধ প্রচারণা
স্কুল–কলেজে মানবাধিকার শিক্ষা সেশন
জনসচেতনতা র্যালি
পরিচালক হানিফ বলেন—
“মানবাধিকারের আলো সমাজের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটি ন্যায়ভিত্তিক, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজ গড়াই হোক আমাদের আজীবনের অঙ্গীকার।”
উপসংহার
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতার নতুন শপথ। ফেনী ও চট্টগ্রাম বিভাগে CEHRLA-এর কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হলে দেশে মানবাধিকার সুরক্ষার নতুন অধ্যায় সূচিত হবে—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।



















