https://youtu.be/quEsliCYe68?si=vZet6kl0g-7Q5Iyv
মোঃ (মুনাইম)হোসেন,নিজস্ব সংবাদদাতা:-সড়কের ধারে ভুট্টা, ড্রাগন, শাকসহ হরেক রকমের চাষ। একটু মাঠে ভেতরে গেলেই চারদিকে বেড়া। এই বেড়ার মধ্যে সুতা ও বাঁশের মাচা। এই মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সবুজ আঙুর। বিদেশি ফল আঙুর দেশে চাষ করলে টক হয় এমন ধারণাকে বদলে দিতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের ভূষিপাড়া গ্রামের কৃষক দুই ভাই লাল মিয়া ও তরিকুল ইসলাম আঙুরের আবাদ করেছেন। আশা করছেন তারা সফল হবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুতা ও বাঁশের মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সবুজ আঙুর। তবে এখনো পরিপক্ব হয়নি। আর ২০-৩০ দিন পর এই আঙুর পরিপক্ব হবে। তখন আঙুরের সবুজ রং পরিবর্তন হয়ে হবে লাল ও কালো। খেতে হবে রসালো মিষ্টি।
খেতের মালিক ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ড্রাগন, মাল্টা ও লেবুর বাগান রয়েছে। আমরা চাই সব সময় নতুন নতুন ফলের চাষ করতে। এ জন্য একবারে সাড়ে তিন বিঘা আঙুরের বাগান করেছি। এই আঙুর চাষের মূল উদ্যোগ আমার বড় ভাইয়ের। তিনিই চারাসহ সবকিছু সংগ্রহ করেছেন।
বড় ভাই লাল মিয়া বলেন, প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম। ফল মিষ্টি হওয়ায় এক বছর আগে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর বাগান করেছি। এবার গাছে অনেক ধরন এসেছে। বাগানে ৭৫০টির মতো গাছ আছে। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ১৫ কেজি করে আঙুর হারভেস্ট করতে পারব বলে আশা করছি।
লাল মিয়া আরও বলেন, বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য একজনকে মাসিক চুক্তিতে রেখেছি। বাগান নিয়মিত পরিচর্যা করা লাগে। সেজন্য আলাদা শ্রমিকে নেওয়া হয়। আমি আর আমার ছোট ভাই সব সমমই বাগান দেখাশোনা করি। এ পর্যন্ত সাড়ে তিন বিঘা আঙুর বাগানে আমাদের ১৪ লাখ টাকা মতো খরচ হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৩০ লাখ টাকার আঙুর বিক্রি করতে পারব।
আঙুরের খেতে কথা হয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমানুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, কৃষি অফিস থেকে তরিকুল ও লাল মিয়াকে সবরকম পরামর্শ দেওয়া হয়। কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা তাদের করা হয়। যেভাবে বাগানে আঙুরের ধরণ এসেছে, আশা করা হচ্ছে তারা লাভবান হবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.