ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাপলেজার কৃতি সন্তান জেরিন তাসনিম অদিতী মেডিকেল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ন সরকার উৎখাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলকারী গ্রেপ্তার-৮ আনসার-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গাজা,নগদ অর্থ উদ্ধার, আটক-১ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১১ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফেনী ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নোয়াপাড়া পথেরহাট থেকে মাওলা আলী জামে মসজিদ সড়ক সংস্কারের আহ্বান এলাকাবাসীর শ্যামনগর জলবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ৩১ দফা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হলো বাকৃবি ছাত্রদল আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী

আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে ঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

মো:আশরাফ (বরিশাল) ক্রাইম প্রধান:

বরিশালের আগৈলঝাড়ার ৫০শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। বৃষ্টি হলেই তারা আতঙ্কে থাকেন ভবন দিয়ে পানি চুয়ে চুয়ে গায়ে পরার। কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণের ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ার্ডে ছাদ চুয়ে পানি পরে ফ্লোর তলিয়ে গেছে। ভবনের ভিতরে পানি থাকার কারনে বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন রোগীরা।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিপাশের ড্রেনে ময়লা জমে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ভবনের পিছনে ময়লা জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ভবন সংস্কারের জন্য তিনবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করলেও তারা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবাদানের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা এলাকায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। এরপরে ২০০৪ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা সমস্যায় ভুগছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।রোগীরা যে ভবনে চিকিৎসা নিচ্ছে সেই ভবনের বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার ধসে পরছে। এমনকি ওই স্থান দিয়ে বৃষ্টির সময় রোগীদের গায়ে পানি পরছে। যার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পরছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ছাদ চুয়ে পানি পরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ার্ডের ফ্লোরে পানি জমে থাকার কারণে রোগীরা বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও ওই ভবনের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চুয়ে চুয়ে পানি পরছে।বর্তমানে ভবনটিতে রোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকার কারণে বিদ্যুৎ না থাকার সময় অসুস্থ রোগীরা আরো অসুস্থ পরে। হাসপাতালে বিভিন্ন সময় পানি থাকে না, গন্ধের কারণে ওয়াসরুম ব্যবহার করতে পারছে না রোগীরা। বৃষ্টির সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চারিপাশে পানি জমে ময়লার কারণে গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কারের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী দেলোয়ার মল্লিক, জনি সরদার, মাহিনুর বেগম বলেন, হাসপাতালে রোগীরা সুস্থ হওয়ার জন্য ভর্তি হয়।কিন্তু হাসপাতালে মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ ও পানি থাকে না, যার কারণে ওয়াসরুম গন্ধ হয়ে যায়। ব্যবহার করা যায় না। বৃষ্টির সময় ভবনের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চুয়ে চুয়ে পানি পরে ফ্লোরে। একারনে ফ্লোর দিয়ে হাঁটা যায় না।এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. গোলাম মোর্শেদ সজীব বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবন চুয়ে চুয়ে পানি পরছে। রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারছে না। ভবনটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা বরাদ্দ দিলেই সংস্কার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে ঝুঁকি

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

মো:আশরাফ (বরিশাল) ক্রাইম প্রধান:

বরিশালের আগৈলঝাড়ার ৫০শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। বৃষ্টি হলেই তারা আতঙ্কে থাকেন ভবন দিয়ে পানি চুয়ে চুয়ে গায়ে পরার। কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণের ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ার্ডে ছাদ চুয়ে পানি পরে ফ্লোর তলিয়ে গেছে। ভবনের ভিতরে পানি থাকার কারনে বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন রোগীরা।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিপাশের ড্রেনে ময়লা জমে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ভবনের পিছনে ময়লা জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ভবন সংস্কারের জন্য তিনবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করলেও তারা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবাদানের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা এলাকায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। এরপরে ২০০৪ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা সমস্যায় ভুগছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।রোগীরা যে ভবনে চিকিৎসা নিচ্ছে সেই ভবনের বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার ধসে পরছে। এমনকি ওই স্থান দিয়ে বৃষ্টির সময় রোগীদের গায়ে পানি পরছে। যার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পরছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ছাদ চুয়ে পানি পরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ার্ডের ফ্লোরে পানি জমে থাকার কারণে রোগীরা বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও ওই ভবনের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চুয়ে চুয়ে পানি পরছে।বর্তমানে ভবনটিতে রোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকার কারণে বিদ্যুৎ না থাকার সময় অসুস্থ রোগীরা আরো অসুস্থ পরে। হাসপাতালে বিভিন্ন সময় পানি থাকে না, গন্ধের কারণে ওয়াসরুম ব্যবহার করতে পারছে না রোগীরা। বৃষ্টির সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চারিপাশে পানি জমে ময়লার কারণে গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কারের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী দেলোয়ার মল্লিক, জনি সরদার, মাহিনুর বেগম বলেন, হাসপাতালে রোগীরা সুস্থ হওয়ার জন্য ভর্তি হয়।কিন্তু হাসপাতালে মাঝে মধ্যেই বিদ্যুৎ ও পানি থাকে না, যার কারণে ওয়াসরুম গন্ধ হয়ে যায়। ব্যবহার করা যায় না। বৃষ্টির সময় ভবনের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চুয়ে চুয়ে পানি পরে ফ্লোরে। একারনে ফ্লোর দিয়ে হাঁটা যায় না।এব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. গোলাম মোর্শেদ সজীব বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবন চুয়ে চুয়ে পানি পরছে। রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারছে না। ভবনটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা বরাদ্দ দিলেই সংস্কার করা হবে।