ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির ১১৩ আসনে প্রার্থী বদলে রেকর্ড: শীর্ষ আলোচিত সর্ব মহলে আগৈলঝাড়ায় সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ৬ বছরেরও উদ্বোধন হয়নি মডেল মসজিদ মনিরামপুরে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইফতেখার সেলিম অগ্নি — জনগণের আস্থার প্রতীক তৃণমূলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ঝিনাইদহ-২ আসন শরীকদের ছেড়ে দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি কাঠালিয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় গোলাম আজম সৈকত নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় 18 মাস বয়সের শিশুকন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার সোনাগাজীর মুন্সি খুরশিদ আলম বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত এনামুল হক এনাম সভাপতি ফেনীতে বিএনপি’র তিন আসনের প্রার্থী ঘোষণা

আওয়ামী লীগের ক্ষমা নেই:মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

একে আজাদ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:-
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৭-১৮ বছরে যে সম্পদ লুট হয়েছে। তার জন্য আন্দোলন করেছি। আন্দোলনে কারো চোখ, কারো পা ভেঙে পঙ্গু হয়েছে।‘আগস্ট মাসের ৪ তারিখে চিন্তাও করতে পারিনি ৫ তারিখে রাস্তায় এত মানুষ নেমে আসবে আর হাসিনার পতন ঘটাবে। সব শেষে জনতার ভয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে।’ আজ শেখ হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু দেশকে ফকির করে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন হলেও পুরোপুরি না। কারণ আন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। সে বিএনপির না। আমরা চাই এই সরকার দেশটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাক যেনও ভোট দিতে পারি। আমরা তাদেরকে পরাজিত করেছি। দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছি। আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। তরুণ যুবকদের প্রাণ গেছে। আজকে সুযোগ এসেছে নতুন করে দেশ তৈরির। আমরা সংবিধান এমনভাবে তৈরি করবো যেনও সাধারণ মানুষ তার অধিকার ফিরে পায়।
ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করেছে। ফ্যাসিবাদী দলের চিরতরে বিদায় না করা পযন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ডিগ্রি কলেজ মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ঘুষ চাইলেই তাকে আইনে দিতে হবে। অন্যায় আমরা করতে দেব না। আওয়ামী লীগ দেশটাকে খোবলা করে ফেলছে। হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা হয়নি। তবে উদ্দেশ্য ছিল ভারতের। আওয়ামী লীগ মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের কোন ক্ষমা নাই। শেখ হাসিনার ক্ষমা নাই। তার বিচার হবে।যারা দেশ পরিচালনা করছেন সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করবেন। যেনও আবারও খেসারত দিতে না হয়। তাই আমাদেরকেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই আগামী নির্বাচন যেনও ভাল হয় সে কারণে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান মির্জা ফখরুলের।বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো মানুষের ওপর অন্যায়, জুলুম করবেন না,‘তারা (সংখ্যালঘু) আমাদের আমানত। সামনে দুর্গাপূজা আসছে। তাদের জানমাল নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।হিন্দু ভাইরা শান্তিতে যেনও পূজা করতে পারে। বাংলাদেশে কোন কোন্দল হয় না। শেখ হাসিনা ভারত থেকে যেনও কোন চক্রান্ত করতে না পারে।আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে অসংখ্য ছেলেকে গুলি করেছে, অসংখ্য মামলা হয়েছে। বারবার জেলে গিয়েছে আমাদের ছেলেরা, কিন্তু কখনো সত্যের পথ থেকে সরে দাঁড়ায়নি।’এরপর বিকেলে মির্জা ফখরুল জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ডাকবাংলো স্টেডিয়াম মাঠে আরও একটি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেত্রীবর্গ সহ হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

আওয়ামী লীগের ক্ষমা নেই:মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

আপডেট সময় : ০৭:১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একে আজাদ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:-
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৭-১৮ বছরে যে সম্পদ লুট হয়েছে। তার জন্য আন্দোলন করেছি। আন্দোলনে কারো চোখ, কারো পা ভেঙে পঙ্গু হয়েছে।‘আগস্ট মাসের ৪ তারিখে চিন্তাও করতে পারিনি ৫ তারিখে রাস্তায় এত মানুষ নেমে আসবে আর হাসিনার পতন ঘটাবে। সব শেষে জনতার ভয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে।’ আজ শেখ হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু দেশকে ফকির করে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন হলেও পুরোপুরি না। কারণ আন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। সে বিএনপির না। আমরা চাই এই সরকার দেশটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাক যেনও ভোট দিতে পারি। আমরা তাদেরকে পরাজিত করেছি। দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছি। আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। তরুণ যুবকদের প্রাণ গেছে। আজকে সুযোগ এসেছে নতুন করে দেশ তৈরির। আমরা সংবিধান এমনভাবে তৈরি করবো যেনও সাধারণ মানুষ তার অধিকার ফিরে পায়।
ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করেছে। ফ্যাসিবাদী দলের চিরতরে বিদায় না করা পযন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ডিগ্রি কলেজ মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ঘুষ চাইলেই তাকে আইনে দিতে হবে। অন্যায় আমরা করতে দেব না। আওয়ামী লীগ দেশটাকে খোবলা করে ফেলছে। হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা হয়নি। তবে উদ্দেশ্য ছিল ভারতের। আওয়ামী লীগ মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের কোন ক্ষমা নাই। শেখ হাসিনার ক্ষমা নাই। তার বিচার হবে।যারা দেশ পরিচালনা করছেন সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করবেন। যেনও আবারও খেসারত দিতে না হয়। তাই আমাদেরকেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই আগামী নির্বাচন যেনও ভাল হয় সে কারণে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান মির্জা ফখরুলের।বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো মানুষের ওপর অন্যায়, জুলুম করবেন না,‘তারা (সংখ্যালঘু) আমাদের আমানত। সামনে দুর্গাপূজা আসছে। তাদের জানমাল নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।হিন্দু ভাইরা শান্তিতে যেনও পূজা করতে পারে। বাংলাদেশে কোন কোন্দল হয় না। শেখ হাসিনা ভারত থেকে যেনও কোন চক্রান্ত করতে না পারে।আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে অসংখ্য ছেলেকে গুলি করেছে, অসংখ্য মামলা হয়েছে। বারবার জেলে গিয়েছে আমাদের ছেলেরা, কিন্তু কখনো সত্যের পথ থেকে সরে দাঁড়ায়নি।’এরপর বিকেলে মির্জা ফখরুল জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ডাকবাংলো স্টেডিয়াম মাঠে আরও একটি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেত্রীবর্গ সহ হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে।