ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বাণিজ্য: কালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিকাশ নাম্বারে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রাণীশংকৈলে বিএনপি ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বকশীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাবেক নৌ সদস্যের মৃত্যু বকশীগঞ্জ নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ জহুরুল হোসেন শ্যামনগরে জেলা প্রশাসকের নানাবিধ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পুলিশের মাসিক পরিদর্শন সোনাগাজীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা বেপরোয়া চেয়ারম্যান পরিবহন, আতঙ্কে দুমকীবাসী তৌফিকুর রহমানের প্রতিবেদন “সাদাকে সাদা কালোকে–“

অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেনা পীরগঞ্জে ১৫০ সরকারি প্রাইমারী স্কুলে দেড় কোটি টাকার দূনীর্তি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ খায়রুল ইসলাম,
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এদের মধ্যে ১৫০টি প্রাইমারী স্কুলে প্রায় দেড় কোটি টাকার আর্থিক দূনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এসব স্কুলে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স বাবদ গড়ে স্কুল প্রতি প্রায় ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের জুন মাসে উপজেলা শিক্ষা অফিস কতৃর্পক্ষ ১৮৮টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সভাপতির যৌথ একাউন্টে এসব টাকা প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যৌথ স্বাক্ষরে পীরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে এসব টাকা উত্তোলন করে স্কুলের কাজে ব্যয় না করে যে যার মত করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা উত্তোলনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও যে উদ্দেশ্যে সরকার টাকা দিয়েছে সে উদ্দেশ্যে অনেকাংশেই ভেস্তে গেছে। স্লিপ ও রুটিন ম্যাইনটেন্সেসের টাকা কোন ক্ষাতে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যয় করেছেন তারো কোন তালিকা নেই কোন স্কুলে।

সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে এই দূনীর্তি গুলো করে থাকেন বলে জানা গেছে। একাধিক বার স্থানীয় লোকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেও এর প্রতিকার পায়নি। ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয় স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স টাকা মোটামুটি ভাবে ব্যয় করেছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ এসব টাকা দূনীর্তি করেছে বলে জানা গেছে।
রুটিন মেইনটেন্যান্স স্লিপের টাকায় স্কুলে কি কি কাজ হয়েছে তার নামের তালিকা প্রতিটি স্কুলে টাংগানো হলে এই দূর্নীর্তির শতভাগ সত্যতা পাওয়া যাবে বলে সুশীল সমাজ ধারণা করছেন। বিশেষ করে সাটিয়া, পীরগঞ্জ মডেল, নারায়নপুর, গড়গাঁও, ফকিরগঞ্জ, বেলসুয়া যদুরাম, সেনগাঁও, জয়কুড়, কেউটগাঁও, ভেমটিয়া, সিন্দুর্না, ক্ষিদ্রগড়গাঁও, জগথা, কিং দলপতিপুর, ঘোড়াধাপ, ভোমরাদহ—২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ১৫০টি প্রাইমারী স্কুলে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্সের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব দূনীর্তি প্রতি বছরই হয়ে থাকে বলে একাধিক ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেনা পীরগঞ্জে ১৫০ সরকারি প্রাইমারী স্কুলে দেড় কোটি টাকার দূনীর্তি

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

মোঃ খায়রুল ইসলাম,
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এদের মধ্যে ১৫০টি প্রাইমারী স্কুলে প্রায় দেড় কোটি টাকার আর্থিক দূনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এসব স্কুলে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স বাবদ গড়ে স্কুল প্রতি প্রায় ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের জুন মাসে উপজেলা শিক্ষা অফিস কতৃর্পক্ষ ১৮৮টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সভাপতির যৌথ একাউন্টে এসব টাকা প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যৌথ স্বাক্ষরে পীরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে এসব টাকা উত্তোলন করে স্কুলের কাজে ব্যয় না করে যে যার মত করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা উত্তোলনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও যে উদ্দেশ্যে সরকার টাকা দিয়েছে সে উদ্দেশ্যে অনেকাংশেই ভেস্তে গেছে। স্লিপ ও রুটিন ম্যাইনটেন্সেসের টাকা কোন ক্ষাতে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যয় করেছেন তারো কোন তালিকা নেই কোন স্কুলে।

সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে এই দূনীর্তি গুলো করে থাকেন বলে জানা গেছে। একাধিক বার স্থানীয় লোকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেও এর প্রতিকার পায়নি। ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয় স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স টাকা মোটামুটি ভাবে ব্যয় করেছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ এসব টাকা দূনীর্তি করেছে বলে জানা গেছে।
রুটিন মেইনটেন্যান্স স্লিপের টাকায় স্কুলে কি কি কাজ হয়েছে তার নামের তালিকা প্রতিটি স্কুলে টাংগানো হলে এই দূর্নীর্তির শতভাগ সত্যতা পাওয়া যাবে বলে সুশীল সমাজ ধারণা করছেন। বিশেষ করে সাটিয়া, পীরগঞ্জ মডেল, নারায়নপুর, গড়গাঁও, ফকিরগঞ্জ, বেলসুয়া যদুরাম, সেনগাঁও, জয়কুড়, কেউটগাঁও, ভেমটিয়া, সিন্দুর্না, ক্ষিদ্রগড়গাঁও, জগথা, কিং দলপতিপুর, ঘোড়াধাপ, ভোমরাদহ—২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ১৫০টি প্রাইমারী স্কুলে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্সের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব দূনীর্তি প্রতি বছরই হয়ে থাকে বলে একাধিক ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।