অবশেষে মুন্সীগঞ্জে দেখা মিলল প্রশান্তির বৃষ্টি

- আপডেট সময় : ১১:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা:
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলায় শুরু হয় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। পরে শুরু হয় মাঝারি ও জোরেশোরে। থেমে থেমে কয়েকদফা বৃষ্টি প্রকৃতিতে নেমে আসে স্বস্তি।
এদিকে, বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে। দিনভর ৩৪-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও সন্ধ্যায় তা ৩০ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
সরজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে চলাচল করছে যানবাহন, অনেকেই স্বেচ্ছায় ভিজছেন বৃষ্টিতে। চোখে মুখে তাদের আনন্দের ছাপ। অপরদিকে বৃষ্টিরপর থেকে সামজিক মাধ্যমে স্বস্তির কথা জানিয়ে পোস্ট করেন নেটিজেনরা।
শহরের মিশুক চালক আশেক উল্লাহ বলেন, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা ছিলো। গরমে প্রতিদিন ক্লান্ত হয়ে যেতাম। এলাকায় বৃষ্টির প্রার্থনায় ইস্তিসকা নামাজও পড়েছি। অবশেষে আলহামদুলিল্লাহ বৃষ্টি আসলো। ভালো লাগছে।
শহরের সুপারমার্কেট এলাকার দোকানদার ইউসুফ ইকবাল বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে বৃষ্টি হলো। এখন ভালো লাগছে। এতোদিন দাঁড়িয়ে বসে থাকলেও ঘাম ঝরতো। রাতে বিদ্যুৎ গেলে ঘুমাতে পারতাম না। এখন ভালো লাগছে।
কলেজ ছাত্র মো. হৃদয় বলেন, বৃষ্টি নামার পরই ভিজেছি। শরীর জুড়িয়ে গেছে। এখন ঠান্ডা হাওয়া আরও ভালো মনে হচ্ছে। সড়কে সব ধুলাবালি সব পরিষ্কার হয়ে গেলো। তবে বৃষ্টি দীর্ঘক্ষণ হলে আরও ভালো হতো।
এদিকে বৃষ্টি হলে তামপাত্রা কমলে লোডশেডিং কম হওয়া কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎয়ের বিভাগ। মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. এনামুল হক বলেন, তীব্র গরমে মুন্সিগঞ্জে বৃহস্পতিবার ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎয়ের চাহিদা ছিলো। যা চাহিদার চেয়ে ১০-১৫ শতংশ কম ছিলো। যে কারনো লোডশেডিং করতে হয়েছে। বৃষ্টি নামায় তামপাত্রা কমলে চাহিদা কমবে। সেক্ষেত্রে লোডশেডিংও কম হবে।