জি এম আব্বাস উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করেন প্রতিবন্ধী অনিমা রানী ধাড়া পিতা মৃত গোপাল চন্দ্র ধাড়া মাতা মৃত ভানু মতী ধাড়া। তিন বোন বড় অনিমান রানী ধাড়া, মেজ বোন বৃষ্টি ধাড়া, ছোট বোন সিলা ধাড়া। অনিমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার মা ভানুমতি ধাড়া ব্লাড ক্যান্সারে ২০১৮ সালে মারা যায় তার বাবা গোপাল চন্দ্র ধাড়া ২০২০ সালে স্টকজনিত রোগে মারা যায়। সে একজন প্রতিবন্ধী দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর ২৫৫০টাকা সরকারি ভাতা পায়। সে একটা ভালো মানের দর্জি পুরানো একটা সেলাই মেশিন দিয়ে এলাকার মানুষের জামা কাপড় বানিয়ে বহু কষ্টে তার দিন যায়। সে কোন জায় গায় সাহায্যের হাত বাড়ায় না,কোন সাজ খায় কোন সাজ খায় না এভাবে তার জীবন যাপন কষ্টে চলে। সে আরো জানায় আশেপাশে এলাকার মানুষ তার স্বজাতি কিন্তু কোনদিন তার সাহায্যের হাত বাড়ায়নি ও খোঁজখবর নেয় না। সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায় মাটির একটা ভাঙ্গাচুরা ঝুপড়ি ঘর খোলার ছাউনি, মাটির দেওয়াল বৃষ্টিতে দেওয়াল গুলি হোকসে গলে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী অনিমা পলিথিন কিনে ঘরের গায় মেরে দেয়ালকে আত্মরক্ষা করে রেখেছে।কিন্তু দেখা যায় বড় ধরনের ঝড় আসলে যে কোন সময় ঘরটি ভেঙেচুরে পড়তে পারে তার কোন জীবনে নিরাপত্তা নেই। জীবনের ঝুঁকে নিয়েই ওই ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন আট বছর। সে বড় হওয়ায় ছোট দুই বোনকে তার দেখাশুনা করতে হয়। আরো দেখা যায় তার বাড়ি ঢোকার যে পথটি একজনের মালিকানাধীন সে দয়া করে তাকে যাওয়ার জন্য দুই ফুটের মতন জায়গা ছেড়ে দিয়ে রেখেছে। কিন্তু একটা লোকের আসা-যাওয়ার জন্য অনেক কষ্টকর রাস্তায় বাগান পথে কাঁদা এই প্রতিবন্ধী চলার জন্য অনেক কষ্টকার। প্রতিবন্ধী অনিমা ধারা বলেন সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি আমার এই ঘরটাকে একটু পাকা তৈরি করে দিত আমি এই প্রতিবন্ধী অসহায় ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপনের হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারতাম। আমার এই ঝুঁকিপূর্ণ ঝুপড়ি ঘর টাকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন সহ দয়বান ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যারা আমার ঘরটাকে তৈরি করে দেবে আমি ঈশ্বরের কাছে দোয়া করব ঈশ্বর যেন তাদের ইহকালে ও পরকালে ভালো রাখে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.