ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

অনিমা রানী প্রতিবন্ধীর অসহায় জীবন যাপন পারুলিয়া ইউনিয়নে টিওর পাড়া গ্রামে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে

জি এম আব্বাস উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধিঃ-

দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করেন প্রতিবন্ধী অনিমা রানী ধাড়া পিতা মৃত গোপাল চন্দ্র ধাড়া মাতা মৃত ভানু মতী ধাড়া। তিন বোন বড় অনিমান রানী ধাড়া, মেজ বোন বৃষ্টি ধাড়া, ছোট বোন সিলা ধাড়া। অনিমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার মা ভানুমতি ধাড়া ব্লাড ক্যান্সারে ২০১৮ সালে মারা যায় তার বাবা গোপাল চন্দ্র ধাড়া ২০২০ সালে স্টকজনিত রোগে মারা যায়। সে একজন প্রতিবন্ধী দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর ২৫৫০টাকা সরকারি ভাতা পায়। সে একটা ভালো মানের দর্জি পুরানো একটা সেলাই মেশিন দিয়ে এলাকার মানুষের জামা কাপড় বানিয়ে বহু কষ্টে তার দিন যায়। সে কোন জায় গায় সাহায্যের হাত বাড়ায় না,কোন সাজ খায় কোন সাজ খায় না এভাবে তার জীবন যাপন কষ্টে চলে। সে আরো জানায় আশেপাশে এলাকার মানুষ তার স্বজাতি কিন্তু কোনদিন তার সাহায্যের হাত বাড়ায়নি ও খোঁজখবর নেয় না। সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায় মাটির একটা ভাঙ্গাচুরা ঝুপড়ি ঘর খোলার ছাউনি, মাটির দেওয়াল বৃষ্টিতে দেওয়াল গুলি হোকসে গলে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী অনিমা পলিথিন কিনে ঘরের গায় মেরে দেয়ালকে আত্মরক্ষা করে রেখেছে।কিন্তু দেখা যায় বড় ধরনের ঝড় আসলে যে কোন সময় ঘরটি ভেঙেচুরে পড়তে পারে তার কোন জীবনে নিরাপত্তা নেই। জীবনের ঝুঁকে নিয়েই ওই ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন আট বছর। সে বড় হওয়ায় ছোট দুই বোনকে তার দেখাশুনা করতে হয়। আরো দেখা যায় তার বাড়ি ঢোকার যে পথটি একজনের মালিকানাধীন সে দয়া করে তাকে যাওয়ার জন্য দুই ফুটের মতন জায়গা ছেড়ে দিয়ে রেখেছে। কিন্তু একটা লোকের আসা-যাওয়ার জন্য অনেক কষ্টকর রাস্তায় বাগান পথে কাঁদা এই প্রতিবন্ধী চলার জন্য অনেক কষ্টকার। প্রতিবন্ধী অনিমা ধারা বলেন সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি আমার এই ঘরটাকে একটু পাকা তৈরি করে দিত আমি এই প্রতিবন্ধী অসহায় ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপনের হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারতাম। আমার এই ঝুঁকিপূর্ণ ঝুপড়ি ঘর টাকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন সহ দয়বান ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যারা আমার ঘরটাকে তৈরি করে দেবে আমি ঈশ্বরের কাছে দোয়া করব ঈশ্বর যেন তাদের ইহকালে ও পরকালে ভালো রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

অনিমা রানী প্রতিবন্ধীর অসহায় জীবন যাপন পারুলিয়া ইউনিয়নে টিওর পাড়া গ্রামে

আপডেট সময় : ০১:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

জি এম আব্বাস উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধিঃ-

দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ডে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করেন প্রতিবন্ধী অনিমা রানী ধাড়া পিতা মৃত গোপাল চন্দ্র ধাড়া মাতা মৃত ভানু মতী ধাড়া। তিন বোন বড় অনিমান রানী ধাড়া, মেজ বোন বৃষ্টি ধাড়া, ছোট বোন সিলা ধাড়া। অনিমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার মা ভানুমতি ধাড়া ব্লাড ক্যান্সারে ২০১৮ সালে মারা যায় তার বাবা গোপাল চন্দ্র ধাড়া ২০২০ সালে স্টকজনিত রোগে মারা যায়। সে একজন প্রতিবন্ধী দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর ২৫৫০টাকা সরকারি ভাতা পায়। সে একটা ভালো মানের দর্জি পুরানো একটা সেলাই মেশিন দিয়ে এলাকার মানুষের জামা কাপড় বানিয়ে বহু কষ্টে তার দিন যায়। সে কোন জায় গায় সাহায্যের হাত বাড়ায় না,কোন সাজ খায় কোন সাজ খায় না এভাবে তার জীবন যাপন কষ্টে চলে। সে আরো জানায় আশেপাশে এলাকার মানুষ তার স্বজাতি কিন্তু কোনদিন তার সাহায্যের হাত বাড়ায়নি ও খোঁজখবর নেয় না। সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায় মাটির একটা ভাঙ্গাচুরা ঝুপড়ি ঘর খোলার ছাউনি, মাটির দেওয়াল বৃষ্টিতে দেওয়াল গুলি হোকসে গলে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী অনিমা পলিথিন কিনে ঘরের গায় মেরে দেয়ালকে আত্মরক্ষা করে রেখেছে।কিন্তু দেখা যায় বড় ধরনের ঝড় আসলে যে কোন সময় ঘরটি ভেঙেচুরে পড়তে পারে তার কোন জীবনে নিরাপত্তা নেই। জীবনের ঝুঁকে নিয়েই ওই ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন আট বছর। সে বড় হওয়ায় ছোট দুই বোনকে তার দেখাশুনা করতে হয়। আরো দেখা যায় তার বাড়ি ঢোকার যে পথটি একজনের মালিকানাধীন সে দয়া করে তাকে যাওয়ার জন্য দুই ফুটের মতন জায়গা ছেড়ে দিয়ে রেখেছে। কিন্তু একটা লোকের আসা-যাওয়ার জন্য অনেক কষ্টকর রাস্তায় বাগান পথে কাঁদা এই প্রতিবন্ধী চলার জন্য অনেক কষ্টকার। প্রতিবন্ধী অনিমা ধারা বলেন সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি আমার এই ঘরটাকে একটু পাকা তৈরি করে দিত আমি এই প্রতিবন্ধী অসহায় ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপনের হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারতাম। আমার এই ঝুঁকিপূর্ণ ঝুপড়ি ঘর টাকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন সহ দয়বান ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যারা আমার ঘরটাকে তৈরি করে দেবে আমি ঈশ্বরের কাছে দোয়া করব ঈশ্বর যেন তাদের ইহকালে ও পরকালে ভালো রাখে।