ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

৫০ বছর সংসার অতঃপর একসাথে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

নেদারল্যান্ডসে একসাথে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন এক দম্পতি। দীর্ঘ অর্ধশত বছর তারা সুখের সংসার করেছেন। এ স্বামী-স্ত্রী হলেন জ্যান (৭০) এবং ইলস (৭১)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, জুনের শুরুতে একসঙ্গে এই বৃদ্ধ দম্পতি মৃত্যুবরণ করেন। আর এ স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে তাদের সহযোগীতা করেছেন দু’জন চিকিৎসক। মৃত্যুর জন্য তাদের দু’জনকে দেয়া হয় প্রাণনাশী ওষুধ।

নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বৈধ, তবে এটি বিরল ঘটনা। তারপরও সেখানে অনেক দম্পতি প্রতি বছর স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেছে নিচ্ছেন। মৃত্যুর তিনদিন আগে এ দু’জন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লিন্ডা প্রেসলির সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানান, দীর্ঘ পাঁচ দশক তারা দু’জন একসঙ্গে ছিলেন। তবে তারা জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন নৌকায় করে। আর জীবনের শেষ ভাগে এসে একটি ভ্যানে থাকতেন। কারণ তাদের ইটপাথরের বাড়িতে থাকতে মন চাইত না। যেহেতু নৌকায় থাকতেন, তাই নৌকা দিয়ে পরিবহণের ব্যবসায়ও নেমেছিলেন জ্যান।
ভারী কাজ করতে করতে জ্যানের একটা সময় পিঠের ব্যথার সৃষ্টি হয়, যা তাকে পুরো জীবনজুড়ে কষ্ট দিয়েছে। ২০০৩ সালে এ ব্যথার জন্য একটি অস্ত্রোপচারও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাঁচতে চাইছিলেন না।
জ্যান জানান, তার অসুস্থতার মধ্যেই ২০২২ সালে তার স্ত্রীর মস্তিস্কের কঠিন অসুখ স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে তার সেরে উঠার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এরপরই একসঙ্গে দু’জন মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ ব্যাপারে নিজেদের একমাত্র ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন এই সম্পতি। এরপর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুনে তারা মৃত্যুবরণ করেন।জ্যান এবং ইলসের প্রথম দেখা হয় কিন্ডারগার্টেনে। জ্যান একসময় নেদারল্যান্ডসের জাতীয় যুব দলের হয়ে হকি খেলেন, পরে একজন ক্রীড়া প্রশিক্ষকও হন। আর ইলস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিলেও পানি, নৌকা এবং পাল তোলার প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অনেক। এ কারণে তারা ৫০ বছরের দাম্পত্য জীবনে প্রেমের পাল তুলে ভেসে বেড়িয়েছেন একসাথেই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

৫০ বছর সংসার অতঃপর একসাথে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ

আপডেট সময় : ০২:৪৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

নেদারল্যান্ডসে একসাথে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন এক দম্পতি। দীর্ঘ অর্ধশত বছর তারা সুখের সংসার করেছেন। এ স্বামী-স্ত্রী হলেন জ্যান (৭০) এবং ইলস (৭১)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, জুনের শুরুতে একসঙ্গে এই বৃদ্ধ দম্পতি মৃত্যুবরণ করেন। আর এ স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে তাদের সহযোগীতা করেছেন দু’জন চিকিৎসক। মৃত্যুর জন্য তাদের দু’জনকে দেয়া হয় প্রাণনাশী ওষুধ।

নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বৈধ, তবে এটি বিরল ঘটনা। তারপরও সেখানে অনেক দম্পতি প্রতি বছর স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেছে নিচ্ছেন। মৃত্যুর তিনদিন আগে এ দু’জন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লিন্ডা প্রেসলির সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানান, দীর্ঘ পাঁচ দশক তারা দু’জন একসঙ্গে ছিলেন। তবে তারা জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন নৌকায় করে। আর জীবনের শেষ ভাগে এসে একটি ভ্যানে থাকতেন। কারণ তাদের ইটপাথরের বাড়িতে থাকতে মন চাইত না। যেহেতু নৌকায় থাকতেন, তাই নৌকা দিয়ে পরিবহণের ব্যবসায়ও নেমেছিলেন জ্যান।
ভারী কাজ করতে করতে জ্যানের একটা সময় পিঠের ব্যথার সৃষ্টি হয়, যা তাকে পুরো জীবনজুড়ে কষ্ট দিয়েছে। ২০০৩ সালে এ ব্যথার জন্য একটি অস্ত্রোপচারও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাঁচতে চাইছিলেন না।
জ্যান জানান, তার অসুস্থতার মধ্যেই ২০২২ সালে তার স্ত্রীর মস্তিস্কের কঠিন অসুখ স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে তার সেরে উঠার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এরপরই একসঙ্গে দু’জন মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ ব্যাপারে নিজেদের একমাত্র ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন এই সম্পতি। এরপর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুনে তারা মৃত্যুবরণ করেন।জ্যান এবং ইলসের প্রথম দেখা হয় কিন্ডারগার্টেনে। জ্যান একসময় নেদারল্যান্ডসের জাতীয় যুব দলের হয়ে হকি খেলেন, পরে একজন ক্রীড়া প্রশিক্ষকও হন। আর ইলস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিলেও পানি, নৌকা এবং পাল তোলার প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অনেক। এ কারণে তারা ৫০ বছরের দাম্পত্য জীবনে প্রেমের পাল তুলে ভেসে বেড়িয়েছেন একসাথেই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন।