৩ যুগ ধরে ভারত বাংলাদেশর রাজস্ব লুট

- আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদঃ দেশর ভারতের রাজস্ব লুট, আকাশ সীমায় বেআইনি হস্তক্ষেপ চুরি। শত শত কোটি টাকা রক্ষা। দীর্ঘ তিন যুগ ধরে বাংলাদেশর আকাশ সীমা বেদখল ও বেআইনি নজরদারি করেছে ভারত। যা দেশের স্বাধীনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। চরম নেতিবাচক সমালোচিত করে তৎকালীন বিগত আমলের দায়িত্বশীল সরকার প্রধান। বিগত আমলের সরকারের নীতি নির্ধারকদের নিষ্ক্রিয় কর্মকাণ্ড ও কার্যক্রম। শুধু তাই নয়,বিপুল পরিমাণ শত শত কোটি টাকার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে দেশকে বঞ্চিত করেছে ভারত। যা এতদিন ছিল ভারতের কূটনীতিক চাপে নিরব প্রচার প্রসারে ছিল ধামাচাপা।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রিত করেছে ভারত। যা সমালোচিত হয়েছে নানা ইস্যুতে। দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ভারতের এমন অপশক্তি দ্বারা নানা ইস্যুতে প্রভাবিত করছে নানাভাবে। প্রশ্নবিদ্ধ করছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অধিকারকে । আরো অনেক নানা বিষয়ে করছে প্রভাবিত। যা থেকে যায় ভারতের অপশক্তি অপক্ষমতার ছোবলে। থেকে যায় আড়ালে। আন্তর্জাতিক আইনে বেআইনি সত্ত্বেও যা থেকে যায় ধরাছোঁয়া নাগালের বাহিরে।
দেশকে বোকা খোকা বানিয়ে ফাঁকি দিয়ে। ফাঁদে ফাঁকে ফেলে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভারত। দেশের সরকার নীতিনির্ধারকদের ম্যানেজ করে দেশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রীয় আইন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আন্তর্জাতিক আইন বেআইনি ও রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেআইনিভাবে হাতিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের আকাশ সীমা থেকে ভারতের চুরিকৃত শত শত কোটি টাকার রাজস্ব রক্ষা পেল নতুন রাডার স্টেশনের মাধ্যমে। যা যুগ যুগ ধরে ছিল ভারতের নিয়ন্ত্রণে। ভারতের পকেটে। বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ব্যবহার করা উড়োজাহাজের সিগন্যাল রেজিস্টার করা হতো ভারতের রাডার থেকে, আর সেই রাজস্বের পুরোটাই হাতিয়ে নিত দিল্লি। সুকৌশলে নানা বাধা-বিপত্তি আপত্তি জানিয়ে আসছিল কূটনীতিকভাবে।
এখন মুক্ত নিরাপদ হলো দেশের আকাশসীমা। বাংলাদেশ-ভারত নতুন রাডারে বদলে গেছে সব হিসাব নিকাশ। বাংলাদেশের আকাশ নজরদারিতে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুছের সক্রিয়তায় বাংলাদেশের আকাশসীমা থেকে চুরি হওয়া শত শত কোটি টাকা ফোন নিরাপদ।
৪০ বছর আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ দীর্ঘদিন ধরে ছিল অকার্যকর। তিন যুগ ধরে বাংলাদেশের স্মার্ট ও শক্তিশালী রাডার ব্যবহারের বাধা ছিল ভারতের। বিশ্বের সব বিমানবন্দরের স্থাপিত রাডার সমূহ সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের আকাশসীমা প্রতিরক্ষার কাজ করে থাকে। অন্য দেশের বিমান প্রবেশ ,শত্রু দেশের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে কার্যকর তথ্য দেয় এই ব্যবস্থা।
দূর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার কারণে এতদিন ধরে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর তথ্য চলে যেতে ভারতের কছে।এতে বছরের পর বছর ধরে নেভিগেশন চার্জের নামে দেশটি হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত এক লাখ কোটি টাকা।
যার কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ছিল হুমকির মুখে। কয়েক যুগ পর অবশেষে নতুন রাডার যুক্ত হওয়ায় বদলে গেছে অনেক হিসাব নিকাশ।
সম্প্রতি নতুন রাডার স্থাপিত হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে দেশের আকাশ আপাতত রাহুমুক্ত হয়েছে ভারতের কাছ থেকে। রাজস্ব খাতে ও যোগ হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
কয়েক যুগ ধরে নিজের আকাশ পথ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিতে সক্ষমতা ছিল না বাংলাদেশের। দেশের সার্বভৌমত্ব ছিল ঝুঁকির মুখে, কারণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র রাডারটি স্থাপন করা হয় ৪০ বছর আগে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় যা দীর্ঘদিন ধরে ছিল অকার্যকর।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল আলম বলেন আমরা আমাদের আকাশ সীমাকে সেইভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। আমাদের সেই সার্বিলেন্স আওতাধীন আসে নাই। যার জন্য আমাদেরকে সার্ভিসগুলো নিতে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে। বিশেষ করে ভারতের কাছ থেকে।
বাংলাদেশের স্মার্ট ও শক্তিশালী রাডার ব্যবহারের বাধা ছিল ভারতের তিন যুগ ধরে। উল্লেখ্য, বিশ্বের সব বিমানবন্দরের স্থাপিত রাডার সমূহ সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের আকাশসীমা প্রতিরক্ষার কাজ করে থাকে। অন্য দেশের বিমান প্রবেশ ,শত্রু দেশের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে কার্যকর তথ্য দেয় এই ব্যবস্থা। নিয়ম অনুযায়ী কোন দেশের বাণিজ্যিক বিমান অন্য দেশের আকাশ সীমায় ব্যবহার করলে প্রায় ৫০০ডলার দিতে হয় সেই দেশকে। অথচ বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ব্যবহার করা এ ধরনের উড়োজাহাজের সিগন্যাল রেজিস্টার করা হতো ভারতের রাডার থেকে, আর সেই রাজস্বের পুরোটাই হাতে নিত দিল্লি।