হাবিপ্রবির হলগুলোতে তল্লাশি অভিযান,পেট্রলবোমা সহ বিপুল অস্ত্র

- আপডেট সময় : ০১:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

হায়দার,হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:-
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমানের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের এক মিটিংয়ে হলে অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ১৪ই আগস্ট (বুধবার) দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ছাত্রদের চারটি আবাসিক হলে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এই যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণে সামুরাই, পেট্রোলবোমা, হকিস্টিক, রড, জিআই পাইপ ও মদের বোতল উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেওয়া হয়।
গত ১৮ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসাথে ওইদিন দুপুর তিনটার মধ্যে আবাসিক হলসমূহ ফাঁকা করার নির্দেশ দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এরপর গত ১২ আগস্ট থেকে হলসমূহ খুলে দেয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হলসমুহ বন্ধ রাখা হয়। হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরবর্তীতে প্রতিটি হলে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ উদ্দেশ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে হলভিত্তিক টিম গঠন করা হয়।
বুধবার আনুমানিক দুপুর দুইটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রতিটি হলের রুমে রুমে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন রুম থেকে সামুরাই, প্লাস্টিক পাইপ, বাশের লাঠি, রড, হকিস্টিক, হেলমেট, স্টাম্প, করাত, দা, চেইন, পেট্রোল বোমার মতো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসবের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য হিসেবে মদের বোতল এবং গাজার কলকি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে বিভিন্ন রকম দেশীয় অস্ত্র ছিলো হাজারেরও অধিক। সাথে প্রায় ৫০ টির মতো হেলমেটও জব্দ করা হয়। সবচেয়ে বেশি ও সদ্য বানানো ধারালো অস্ত্র পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের শুধু একটি অংশ (নূর হোসেন ব্লক) থেকে সামুরাই ৯৬ টি, স্টিলের পাইপ ১৫৭টি, পেট্রোল বোমা ৪টি, রড ৯২টি, স্ট্যাম্প ২৭টি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সব হল থেকে প্রায় ১৫ টির মতো মদের বোতল এবং গাজা সেবনের উপকরণও উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপের মধ্যে মারামারি কিংবা সংঘর্ষের সময় এগুলো ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতেই শাখা ছাত্রলীগের এই বিরাট আয়োজন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযান শেষ করার পর এসব জব্দকৃত অস্ত্রসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান মারফত সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য হলসমূহ খুলে দেওয়া হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিটি হলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের সমম্বয়ে হলভিত্তিক টিম গঠন