হাবিপ্রবিতে ২দিন ব্যাপী কৃষি ও পরিবেশ অলিম্পিয়াডের পর্ব সমাপ্ত
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
নিজেস্ব সংবাদাতা;
কৃষিপ্রধান আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধ করতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াশ ( ইন্টারন্যাশনাল আসোসিয়েশন অব এগ্রিকালচারাল এন্ড রিলেটেড সাইন্স ) কতৃক আয়োজিত হয় রিজিওনাল পরিবেশ অলিম্পিয়াড -২০২৪ ৷
শনিবার (৯ মার্চ ) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অডিটরিয়াম ১ এ আয়োজন করা হয় রিজিওনাল এগ্রি এনভাইরোনমেন্টাল অলিম্পিয়াড। ২ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনে অংশ গ্রহন করেছেন দিনাজপুর এর বিভিন্ন স্কুল , কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষর্থীরা ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উম্মে সালমা, প্রফেসর ড. মো: মাহাবুব হোসেইন (ডিরেক্টর, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডভাইজরি ডিভিশন), মোঃ মাহাদি হাসান তুষার (রিজিওনাল এক্সটার্নাল রিলেশন কো-অর্ডিনেটর ইয়াস এশিয়া পেসিফিক) , সহকারী প্রক্টর ড.ইয়াছিন প্রধান , সহকারী প্রক্টর সরোয়ার হোসেন ,সহকারী প্রক্টর ড. মোঃ রবিউল ইসলাম এবং সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামানিক ৷
অনুষ্ঠানটিতে স্পনসার হিসেবে ছিলেন নেদারল্যান্ডের একটি সিড কম্পানি রিজ্ক জাওয়ান ।
মো: মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান টি শুরু হয় । দ্বিতীয় দিনের ইভেন্ট হিসেবে ছিল ইয়াস প্রেজেন্টেশন,ওয়ার্কশপ সেশন, আইস ব্রেকিং , অতিথিদের দেয়া বক্তব্য , শিক্ষর্থীদের ক্রিয়েটিভিটি বৃদ্ধির জন্য আলোচনা ৷ এভাবে সেশন টিকে নানারকম ইভেন্টে বিভক্ত করা হয়।
উক্ত প্রোগ্রামে মাহাদি হাসান তুষার তার বক্তব্যে লিডারশিপ ও তার গুণাবলি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন,” একজন ভালো লিডার কখনো হারতে পারেন না, তিনি হারলেও আবার নতুন করে দাঁড়িয়ে শুরু করেন। ক্রিয়েটিভ থিংকিং টাইম মেনেজমেন্ট , সহ কিছু গুরুত্বপুর্ন টপিক নিয়ে শিক্ষর্থীদের মাঝে আলোচনা করেন।
ইয়াস এসিয়া পেসিফিক এর আমন্তরিত অতিথি বলেন “আমি বিগত নয় বছর থেকে কৃষি ও কৃষির সাথে সমৃক্ত বিজ্ঞান নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করছি। তিনি আরো জানিয়েছেন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উচ্ছাস তাকে বেশি বিমোহিত করছে ।”
অংশ গ্রহন কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন শুভ বলেছেন ” ইয়াস এর সকল প্রোগ্রাম আমি অংশ গ্রহন করি , এ ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের সফ্ট স্কিল বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে । সামনের দিনে আরো ভালো উদ্যোগে গ্রহন করার আমন্ত্রণ জানাই ”
অলিম্পিয়াডে অংশ গ্রহনকৃত স্কুল শিক্ষার্থী তামান্না ইয়াসমিন বলেন , এরকম প্রতিযোগিতা মুলক আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমার ভালো লাগছে ৷ আমি যদিও কোনো ইভেন্টে জয় লাভ করতে পারি নাই কিন্তু তবুও কোনো খারাপ লাগতেছে না ৷ আগামী বছর আরো ভালো করে চেষ্টা করবো ৷ অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে হাবিপ্রবি সহকারী সোহরাব হোসেন বলেন
” ইয়াস বাংলাদেশের প্রোগ্রামগুলো খুবই ইফেক্টিভ। স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এমন প্রোগ্রামে আরঁ বেশি অংশগ্রহন করবে এমন আশাই ব্যক্ত করি।”
সর্বশেষ অলিম্পিয়াডে অংশ গ্রহনরত বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা ।